** দ্বিতীয় বারের মতো ব্রিটিশ পার্লামেন্টে রূপা হক
** ৩৫ হাজার ভোটের বিশাল ব্যবধানে জয়ী রুশনারা
** আবারও বিপুল ভোটে জিতলেন টিউলিপ সিদ্দিক
** এগিয়েও বিপাকে টেরিজার কনজারভেটিভ পার্টি
** আসছে ফলাফল, জমেছে লড়াই
** ব্রিটেনের নির্বাচনে তেরিজাকে পেছনে ফেলছেন জেরেমি
** টেরিজা নাকি করবিন, কে আসছেন যুক্তরাজ্যের নেতৃত্বে
যুক্তরাজ্যের সরকার গঠনে পার্লামেন্টের ৬৫০ আসনের মধ্যে ৩২৬ আসনে জিততে হয়। শুক্রবার (৯ জুন) বেলা পৌনে ১২টা পর্যন্ত ৬৪১ আসনের প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা গেছে, টেরিজার দল পেয়েছে ৩১১ আসন।
ফলাফল ঘোষণার বাকি মাত্র ৯ আসন থাকলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে টেরিজার দলের দরকার আরও ১৫ আসন। সে হিসাবে ক্ষমতাসীনদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে গেলো। ভোটের আগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনী জরিপেও টেরিজার কনজারভেটিভ পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর আভাস দেওয়া হয়।
এখন একক কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় যুক্তরাজ্য চলবে ঝুলন্ত পার্লামেন্টে। তাদের অন্য দলের সঙ্গে মিলে জোট গঠন করে সরকার চালাতে হবে। এক্ষেত্রে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে ক্ষমতা আরও নিরঙ্কুশ করার জন্য নির্বাচন ডাকা টেরিজাকে একেবারে বেকায়দায়ই থাকতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর এই আগাম নির্বাচনে তার দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে ফেলাকে বিশ্লেষকরা ‘ভূমিকম্প ফলাফল’ বলেই আখ্যা দিচ্ছেন। অনেকে বলছেন, ব্রেক্সিটের পুরোপুরি বাস্তবায়নে টেরিজার সামনে ভোটের বাধাই দিয়ে দিলো জনগণ। আর এতে ব্রেক্সিটের প্রচারক টেরিজার জন্য ক্ষমতা ধরে রাখা চ্যালেঞ্জই হয়ে দাঁড়ালো।
এই ভোটের বাধাকে দেখিয়ে বিরোধী দল লেবার পার্টির জেরেমি করবিন প্রধানমন্ত্রী টেরিজার পদত্যাগও দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, রাজনীতি বদলে গেছে। আগে যেই বৃত্তে রাজনীতি বন্দি ছিল, সেখানে তা আর ফিরছে না। তিনি জনগণের ম্যান্ডেট (সমর্থন) চেয়েছিলেন। তাকে আসনে হারিয়ে জনগণ ম্যান্ডেট দিয়েছে, তিনি ভোট হারিয়েছেন, সমর্থন হারিয়েছেন, আস্থা হারিয়েছেন। এখন এটা বলাই যায়, এটা তার পদত্যাগের জন্য যথেষ্ট।
করবিনের এই পদত্যাগ দাবির সঙ্গে সুর মিলিয়ে টেরিজাকে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন লেবার পার্টির সাবেক নেতা এড মিলিব্যান্ডও।
তবে বিরোধীদের এই পদত্যাগের দাবি নাকচ করে দিয়ে টেরিজা বলেছেন, তার দল যুক্তরাজ্যে স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর। পদত্যাগ না করে জোট সরকার গঠনের মাধ্যমে সরকার পরিচালনারও আভাস দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দিনভর ভোটগ্রহণের পর রাত থেকেই ফলাফল আসতে শুরু করে। প্রথম দিকে লেবার পার্টি এগিয়ে থাকলেও শেষ দিকে কনজারভেটিভ পার্টি এগিয়ে যায়। কিন্তু সেটা সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের জন্য যথেষ্ট হয়নি।
ব্রেক্সিটের পর গত বছরের জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী পদে ডেভিড ক্যামেরনের স্থলাভিষিক্ত হওয়া টেরিজা গত এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে আকস্মিক নির্বাচনের ডাক দেন। ২০২০ সালে পরবর্তী নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও তার এই আগাম নির্বাচন আহ্বানকে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে ক্ষমতা আরও নিরঙ্কুশ করার পদক্ষেপ বলে দেখা হচ্ছিল। কিন্তু এখন টেরিজা নিজেই বেশ বিপদে পড়ে গেলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৬ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৭
এইচএ/