মধ্যপ্রাচ্যে চলমান অস্থিরতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করে খামেনি বলেন ইসলামিক স্টেট ও লেভান্টের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের লড়াই মিথ্যা।
সোমবার ( জুন ১২) ইরানের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় খামেনি এসব কথা বলেন বলে জানিয়েছে তার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।
১৯৭৯ সালের ‘ইসলামিক বিপ্লব’ এর পর ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয় ইরানের। ইরানে খামেনির কট্টর সমর্থকরা চরম যুক্তরাষ্ট্র বিরোধী বলে পরিচিত।
এদিকে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই কঠোর ভাষায় ইরানকে আক্রমণ করে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপাশি ইরানের ব্যাপারে ওবামা সরকারের অনুসৃত ইতিবাচক অবস্থান থেকেও সরে আসার ঘোষণা দেন তিনি।
জবাবে পবিত্র রমজান মাস শুরুর পর বেশ কয়েকবারই কঠোর ভাষায় যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা করেন খামেনি। খামেনি বলেন, ‘আমেরিকার সরকার স্বাধীন ও সার্বভৌম ইরানের বিরুদ্ধে.. ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের অস্তিত্বের ব্যাপারে তাদের সমস্যা আছে... তাদের সঙ্গে আমাদের অধিকাংশ সমস্যই সমাধানযোগ্য নয়‘।
খামেনি যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যপ্রাচ্যে তার মিত্র সৌদি আরবকে ইসলামিক স্টেট (ইসলামিক স্টেট) সহ অন্যান্য চরমপন্থি গ্রুপগুলোকে সহায়তা দেয়ার ব্যাপারে অভিযুক্ত করে আসছেন।
গত বুধবার তেহরানে আইএস হামলায় নিহত হয় ১৭ জন। ইরানে আইএস এর এ ধরনের হামলা এই প্রথম। এই হামলার জন্য সৌদি আরবকে দায়ী করেন খামেনি।
তবে তেহরানের পার্লামেন্ট এবং দেশটির ইসলামিক বিপ্লবের নেতৃত্ব প্রদানকারী ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খামেনির মাজারে হামলার ঘটনায় নিজেদের সংশ্লিষ্টতার দায় অস্বীকার করে রিয়াদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪১ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৭
আরআই