সৌরজগতের বাইরের প্রাণের সম্ভাবনা রয়েছে এমন ২১৯টি গ্রহের উপর জরিপ পরিচালনা করে সোমবার নাসা জানায়, মহাকাশে পাঠানো তাদের কেপলার স্পেস টেলিস্কোপ এই গ্রহগুলো শনাক্ত করেছে।
২০০৯ সালে কেপলারকে মহাকাশে ছাড়ার পরবর্তী চার বছরে এ পরীক্ষা চালানো হয় বলে জানায় নাসা।
পৃথিবী যে দূরত্বে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে নতুন ঐ দশটি গ্রহও একই দূরত্বে তাদের ‘সূর্য’কে প্রদক্ষিণ করে বেড়াচ্ছে। বাসযোগ্য এ গ্রহগুলোতে সহনীয় তাপমাত্রা, পানি এবং প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে গ্রহগুলোতে প্রাণের অস্তিত্ব থাকার বিষয়টি এখনই স্পষ্ট নয়।
তবে একটি গ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের জন্য যে সব উপাদান প্রয়োজন, সে সব উপাদান এসব গ্রহে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে নাসা।
এই প্রজেক্টের সঙ্গে জড়িত নাসার বিজ্ঞানী মারিও পেরেজ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরাই কি একা? হতে পারে তাই। আমরা যদি একা না হই, তবে তা প্রমাণের জন্য নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন রয়েছে। অন্যান্য বিজ্ঞানীরাও একমত যে, এ আবিষ্কার অন্যত্র প্রাণের সন্ধানের আশার কাজে গতি সঞ্চার করবে।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিদ এভি লোয়েব বলেন, এ আবিষ্কার প্রমাণ করে যে, সূর্যের মতো তারকাদের পাশে পৃথিবীর মতো বাসযোগ্য গ্রহের সন্ধান পাবার বিষয়টি দুষ্কর নয়।
সর্বশেষ জরিপটি এ ব্যাপারে চালানো তাদের অষ্টম জরিপ বলে জানিয়েছে নাসা। তবে আগের যেকোনো জরিপের তুলনায় এটি বিস্তারিত ও পূর্ণাঙ্গ।
জরিপে আমাদের সৌরজগতের বাইরে মোট ৪,০৩৪ টি পৃথিবীর মতো গ্রহের নমুনা শনাক্ত করেছে কেপলার। যার মধ্যে ২,৩৩৫ টি গ্রহে প্রাণ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
কেপলারই হচ্ছে প্রথম মহাকাশ দূরবীন যার মাধ্যমে সৌরজগতের ভিতরে ও বাইরে পৃথিবীর মতো গ্রহের সন্ধান মিলেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘন্টা, ২০ জুন, ২০১৭
জিওয়াই/আরআই