অথচ সেই সিংহাসনে আগ্রহ নেই বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজপরিবারের প্রিন্স হ্যারির। হ্যারির মত, রাজপরিবারের কেউই নাকি আসলে রাজা অথবা রাণী হতে আগ্রহী নন।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি ম্যাগাজিনকে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন ব্রিটেনের রাজপ্রাসাদ বাকিংহাম প্যালেসের উত্তরসূরী প্রিন্স হ্যারি।
তিনি বলেন, নিজের কেনাকাটা আমি নিজেই করি। মাঝে-মাঝে দুশ্চিন্তায় পড়ি এটা ভেবে যে, কেউ আমাকে চিনে ফেলে যদি ছবি তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তবে সাদাসিধে জীবনেই তুলনামূলকভবে আমি স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করি। আমি এটাও চাই যে যদি আমার ছেলে-মেয়ে থাকতো, তারাও এমন জীবন-যাপনে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করুক।
রাজপরিবারের কেউই রাজা বা রাণী হতে চান না জানিয়ে প্রিন্স হ্যারি বলেন, তবে আমরা সঠিক সময়ে নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাবো।
প্রিন্স জানান, একবছর ধরে ব্রিটিশ রাজপরিবারের আধুনিকায়নে কাজ করছেন তিনি।
প্রিন্স হ্যারির মা প্রিন্সেস ডায়ানা ও বাবা প্রিন্স চার্লসের সাদাসিধে জীবন-যাপন ব্রিটিশ জনগণের কাছে তুমুল জনপ্রিয়। রাজপরিবারের এই দম্পতির সন্তানরাও তেমন জীবন-যাপনেই অভ্যস্থতা দেখিয়ে আসছেন।
হ্যারি তার মা প্রিন্সেস ডায়ানা ও ভাই প্রিন্স উইলিয়ামসের সাদামাটা জীবনযাপনের প্রশংসা করে বলেন, তাদের জীবনযাত্রা আমার জীবনে প্রভাব ফেলেছে। আমি যদি রাজাও হতাম, তবু আমি একলা শপিং করতাম।
হ্যারির মাত্র ১২ বছর বয়সে এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তার মা প্রিন্সেস ডায়ানা। তার শেষকৃত্যানুষ্ঠানের স্মৃতিচারণ করে হ্যারি বলেন, মা যখন মারা গেলেন তখন তার কফিনের পেছনে দীর্ঘ সময় হেঁটেছি, হাজারো লোক তখন সঙ্গে ছিলো। লাখো মানুষ টেলিভিশনে তা দেখছিল। একটি শিশুর জন্য এটা বেদনায়ক...তবে সেটা (জনস্রোত) তার প্রতি জনগণের ভালোবাসারই প্রমাণ ছিল...।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, ২১ জুন, ২০১৭
জিওয়াই/এইচএ/