বৃহস্পতিবার (২২ জুন) জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এই উদ্বেগজনক তথ্যটি দিয়েছে। আইএসের সর্বশেষ শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত মসুল পুনরুদ্ধারে ইরাকের সরকারি বাহিনী অভিযান শুরুর পর থেকে শিশুদের হত্যা করার অনেক প্রমাণ নিজেদের কাছে রয়েছে বলেও জানিয়েছে ইউনিসেফ।
ইউনিসেফের ইরাক প্রতিনিধি পিটার হকিনস সংবাদমাধ্যমকে বলেন, অভিযান এলাকা থেকে পালাতে বের হওয়া পরিবারগুলোর শিশুদের ধরে ধরে তাদের পরিবারকে ঠেকিয়ে রাখছে আইএস। যেন পরিবারগুলো থেকে গেলে সরকারি বাহিনী সহজে অভিযান চালাতে না পারে। কোনো পরিবার না মানতে চাইলে তাদের সন্তানদের হত্যা করা হচ্ছে।
যুদ্ধটি মহাবিপর্যয়কর ও পুরোপুরি নির্বিচারে রূপ নিয়েছে এটা তারই প্রমাণ বলে মন্তব্য করেন হকিনস।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে মসুলের পুরান শহরে আইএসবিরোধী অভিযান শুরু করে ইরাকি সামরিক বাহিনী। অভিযান শুরুর পর থেকে প্রায় লাখোধিক মানুষ শহরটি ছেড়ে গেছে, যাদের মধ্যে রয়েছে অর্ধেক শিশুও।
ইউনিসেফ বলছে, কেবল মসুল নয়, পুরো ইরাকজুড়ে শিশুরা একের পর এক নৃশংসতা ও অকল্পনীয় সহিংসতার শিকার হয়ে যাচ্ছে। ইতিহাসের সবচেয়ে নিষ্ঠুর এ যুদ্ধে শিশুরা হতাহত এবং অপহৃত হচ্ছে। এই মুহূর্তে ইরাকের অন্তত ৫০ লাখ শিশুর দ্রুত সহায়তা প্রয়োজন।
২০১৪ সালে আইএস ইরাকের প্রায় এক তৃতীয়াংশে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে ১ হাজার ৭৫ শিশু নিহত এবং ১ হাজার ১৩০ শিশু আহত হয়েছে। কেবল গত ছয় মাসের সহিংসতায় ইরাকে ১৫২ শিশু নিহত এবং ২৫৫ জন আহত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, ২২ জুন, ২০১৭
জিওয়াই/এইচএ/