কিন্তু পাঠকের কাছে ঘটনার চিত্র বস্তুনিষ্ঠ ও জীবন্ত তুলে ধরতে তো কোনো না কোনো ছবি লাগবেই। তাহলে? সে চিন্তায় মার্কিন প্রভাবশালী সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন রঙিন পেন্সিল আর খাতাসহ পাঠিয়ে দিলো তাদের খ্যাতিমান আঁকিয়ে বিল হেনেসিকে।
অন্য সংবাদকর্মীরা যখন খাতা-কলমে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি শন স্পাইসারের বিবৃতি লিখছিলেন, হেনেসি তখন ব্রিফিং রুমের পেছনে বসে মন দিয়ে আঁকছিলেন সেই ব্রিফিংয়ের চিত্র। বেশ কিছু ভঙ্গির চিত্রকর্ম এঁকে হেনেসি দিয়ে দিলেন তার কর্মস্থলে।
বরাবরের মতোই সাধু সাধু রব পড়ে গেল সিএনএনে। মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি তাদের প্রতিবেদনে ছাপিয়ে দিলো সেই চিত্রকর্ম। পাঠক চমক পেলেও সমালোচনা উঠলো অন্য সংবাদমাধ্যমে। যেখানে ক্যামেরা নিষিদ্ধ করা হলো, সেখানে কেন এমন ‘কৌশল’ খাটাতে হবে?সিএনএনের ব্যাখ্যা, যেহেতু সুপ্রিম কোর্টসহ আদালতের কার্যক্রমে ক্যামেরা নিষিদ্ধ থাকলেও এমন স্কেচ করা যায়, সেহেতু হোয়াইট হাউসের ব্রিফিংয়ে এই স্কেচ করা অন্যায় নয়, অন্তত সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে।
প্রায় কোয়ার্টার শতক ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্টদের প্রেস সেক্রেটারিরা অন-ক্যামেরা ব্রিফিং করে আসছেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ওঠার পর মাঝেমধ্যেই ক্যামেরা নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। নিষিদ্ধ করা হচ্ছে সরাসরি অডিও সম্প্রচারও।
এ বিষয়ে অবশ্য প্রেস সেক্রেটারি স্পাইসারের বক্তব্য, আমি মনে করি না টেলিভিশনে সম্প্রচার হওয়া না হওয়ার মধ্যে ব্রিফিংয়ের সফলতা-ব্যর্থতা নির্ভর করে।
ওয়াশিংটনের সাংবাদিক হেনেসি তার চিত্রকর্মের জন্য মার্কিন মিডিয়াপাড়ায় বেশ খ্যাতিমান। তিনি কংগ্রেসে সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনকে অভিশংসন প্রক্রিয়া, গুয়ান্তানামো বে কারাগারের বন্দিদের মামলার শুনানি এবং সন্ত্রাসে সন্দেহভাজনদের বিচার প্রক্রিয়াও ঠিক এই কায়দায় কাভার করেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৭
এইচএ/