ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মালয়েশিয়ায় আত্মগোপনে বিদেশি শ্রমিকরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৩ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০১৭
মালয়েশিয়ায় আত্মগোপনে বিদেশি শ্রমিকরা গ্রেফতার অবৈধ অভিবাসী- সংগৃহীত

মালয়েশিয়াব্যাপী অবৈধ অভিবাসীবিরোধী অভিযানের তৃতীয় দিনে এর উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে দেশটির অর্থনীতিতে। গ্রেফতার এড়াতে অবৈধ অভিবাসীদের পাশাপাশি অনেক বৈধ শ্রমিক আত্মগোপনে চলে যাওয়ার পন্থা অবলম্বন করেছেন। এতে বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি শ্রমিক সংকট ভুগছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে নির্মাণ ও এসএমই খাত।
 

গত ১ জুলাই ই-কার্ড (এনফোর্সমেন্ট কার্ড) এর জন্য বেঁধে দেওয়া সময়সীমা শেষ হওয়ার পরপরই অভিযানে নামে মালয়েশিয়া অভিবাসন পুলিশ। অভিযানে বাংলাদেশিসহ বহু বিদেশি শ্রমিককে গ্রেফতার করা হয়।

এদিকে চলমান অভিযান পরিস্থিতি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত শ্রমিকরা কাজে ফিরবেন না বলে আশংকা করছেন বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে জড়িতরা। অভিযানে শ্রমিকরা যখন আড়ালে চলে যায় তখন কন্ট্রাক্টরদের কাজ বন্ধ করে বসে থাকা ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না।  

মাস্টার বিল্ডারস অ্যাসোসিয়েশন মালয়েশিয়া সভাপতি ফু চেক লি বলেন, নির্মাণ শ্রমিকদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর ফলে হয়তো কর্মস্থলে আসতে তারা ভয় পাচ্ছেন। অভিযান অব্যাহত থাকলে উৎপাদন ব্যবস্থা বিশৃঙ্খল হয়ে পড়বে। আর তাতে দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি নির্মাণ শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে।  

নির্মাণ কন্ট্রাক্টরদের আহ্বান জানিয়ে ফু বলেন, যেহেতু সরকার ই-কার্ড এর মেয়াদ আর বাড়াবে না তাই আমি কন্ট্রাক্টরদের বলবো, অপ্রয়োজনীয় সমস্যায় পড়ার আগেই যেন শ্রমিকদের ফের নিয়োগ দেওয়া হয়।  

যেসব সদস্য ফের নিয়োগের বিষয়ে সমস্যায় আছেন তাদের কনস্ট্রাকশন লেবার এক্সচেঞ্জ সেন্টার বিএইচডি এর সহযোগিতা নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।  

অ্যাসোসিয়েটেড চাইনিজ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অব মালয়েশিয়ার সদস্য দাতুক সেরি থান থিয়ান বলেন, অভিযানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ক্ষুদ্র ব্যবসাগুলো। কারণ এদের অধিকাংশই বিদেশি শ্রমিকদের বৈধভাবে নিয়োগের সামর্থ্য রাখে না।  

এসএমই অ্যাসোসিয়েশন অব মালয়েশিয়া সভাপতি দাতুক মাইকেল কেং বলেন, অভিযানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারণ অবৈধ শ্রমিকরা প্রকাশ্যে আসতে ভয় পান।  

অভিবাসন মহাপরিচালক মোস্তাফার আলী এক হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় বলেন, বৈধ শ্রমিকদের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।  

অবৈধ শ্রমিকদের অস্থায়ী বৈধতা দিতে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ই-কার্ড বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়েছিল। বিনামূল্যে বিতরণ করার এ কার্ডের মেয়াদ বহাল থাকবে ২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪২১ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০১৭
জিওয়াই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।