বুধবার (৫ জুলাই) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, সিকিম সেক্টরে চিকেন নেকে সড়ক বানিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে ভারতের প্রবেশ চীন ঝুঁকিতে ফেলছে বলে নয়াদিল্লি জনগণকে বিভ্রান্ত করছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেন শুয়াং বলেন, ১৮৯০ সিনো-ব্রিটেন কনভেনশনে যা লেখা আছে তার ঠিক উল্টো ভারতের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ডোংলাং বা ডোকলাম নাকি তিন দেশের (ভারত, চীন, ভুটান) মিলনস্থলে অবস্থিত, এটা জনগণকে বিভ্রান্ত করার তথ্য।
চীনা এ কূটনীতিক বলেন, ওই কনভেনশনের নির্দেশনা অনুযায়ী সিকিম সেকশনের সীমান্তের বাইরে ভুটানের মাউন্ট গিপমোচির ২ হাজার মিটার দূরে সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু তিন দেশের সীমান্তের মিলনস্থলে সড়ক নির্মাণের কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।
ডোকলাম এলাকায় ওই সড়ক নির্মাণ এবং ভারতের দু’টি বাংকার গুড়ি দেওয়াকে ঘিরে সম্প্রতি নয়াদিল্লি ও বেইজিংয়ের মধ্যে উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করেছে। দু’টি দেশই দু’পাশে হাজার দশেক করে সৈন্য-সামন্ত জড়ো করেছে বলে খবর ছড়িয়েছে।
চীনের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, ভারত বাড়াবাড়ি করলে তাদের ১৯৬২ এর যুদ্ধের চেয়েও কঠিন শিক্ষা দেওয়া হবে।
তার জবাবে নয়াদিল্লি বলেছে, অর্ধশতক আগের ভারত আর এখনকার ভারতকে একচোখে দেখলে বেইজিং ভুল করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১৭
এইচএ/