বুধবার (৫ জুলাই) জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালে উত্তর কোরিয়াকে সতর্ক করে বলেন, পিয়ংইয়ং এখনই পরিস্থিতির লাগাম না টানলে সামনে নতুন প্রস্তাবনা (সামরিক শক্তি প্রয়োগের) উত্থাপন করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।
আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষাকে নতুন সামরিক উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা উল্লেখ করে হ্যালে উত্তর কোরিয়ার ওপর কড়া বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও হুমকি দেন।
তিনি বলেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ আমাদের কূটনৈতিক সমাধানের সম্ভাবনাকে দ্রুতই নিঃশেষ করে দিচ্ছে। ...আমরা যদি বাধ্য হই তবে অবশ্যই আমাদের অন্যতম সক্ষমতা বিবেচ্য সামরিক শক্তির ব্যবহার করবো...কিন্তু আমরা এই পথে না যেতেই চাইবো। ’
পিয়ংইয়ংয়ের পরমাণু বা ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেটিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েই মঙ্গলবার জাপান সাগরে ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এর আগেও সেখানে দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে আসছে পিয়ংইয়ং।
মঙ্গলবারের উৎক্ষেপণের পর যুক্তরাষ্ট্র এবং তার দুই আঞ্চলিক জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে বলা হয়, এটি অগ্রহণযোগ্য উস্কানি।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস ও জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী তোমোমি ইনাদা জরুরি ফোনালাপের পর বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। যুক্তরাষ্ট্র দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তার আঞ্চলিক মিত্রদের সুরক্ষা নিশ্চিতের প্রশ্নে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩১ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০১৭
এইচএ/