রোববার (৯ জুলাই) সেনাবাহিনীর তরফ থেকে মসুল পুরোপুরি পুনরুদ্ধারের ঘোষণা আসার পর নগরটিতে ছুটে যান প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদি। তার আগে এক বিবৃতিতে তিনি সেনাবাহিনীসহ দেশের জনগণকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানান।
গত বছরের ১৭ অক্টোবর থেকে গুরুত্বপূর্ণ এলাকাটি আইএসের কবল থেকে পুনরুদ্ধার করতে লড়াই করে আসছিল ইরাকি বাহিনী। তাদের সঙ্গে ছিল যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট। ছিল কুর্দি পেশমার্গা বাহিনী, সুন্নি-আরব উপজাতি ও শিয়াদের মিলিশিয়াদের বাগদাদপন্থি বিভিন্ন গ্রুপও।
আরব বসন্তের পর উত্তাল হয়ে পড়া ইরাকের বিশাল এলাকা দখল করে খিলাফত ঘোষণা করে আইএস। ২০১৪ সালের জুনে তারা দখল করে নেয় মসুলও। মানবাধিকার ও ত্রাণ সহায়তা সংগঠনগুলোর তথ্যানুযায়ী, আইএসের দখলে যাওয়ার পর মসুল থেকে অন্তত ৯ লাখ মানুষ বাস্তুহারা হয়। নিহত হয় শত শত মানুষ।
প্রথম দিকে আইএস শক্তি দেখালেও পরবর্তীতে পশ্চিমা বাহিনীর সহায়তায় বর্বর গোষ্ঠীটিকে হটাতে থাকে ইরাকি বাহিনী।
গত কয়েকদিন ধরে ব্যাপক যুদ্ধের পর রোববার আইএসের পক্ষে লড়াই করছিল অর্ধশত জঙ্গি। এদের মধ্যে ৩০ জনের মতো জঙ্গি সরকারি বাহিনীর পোক্ত অবস্থান বুঝতে পেরে নিকটস্থ নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যেতে চাইলে তাদের গুলি করে যৌথ বাহিনী। এসময় ওই ৩০ জনই নিহত হয়।
বিশ্ব সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, এই মসুল থেকে বিতাড়িত হওয়ার ফলে আইএস তাদের বড় শক্তি খুইয়ে ফেললো। এতে ইরাকে তাদের চূড়ান্ত পতন আরও ত্বরান্বিত হয়ে গেল।
যদিও বর্বর গোষ্ঠীটির কাপুরুষোচিত আত্মঘাতী হামলার বিষয়ে সরকারকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে মসুল জয়ের আত্মতৃপ্তি যেন আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভাটা না ফেলে সে সতর্কতাও উচ্চারণ করেছেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০১৭
এইচএ