আট পা ওয়ালা সে প্রাণীটির নাম হলো ‘পানি ভল্লুক’। প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার জন্য অন্য যেকোনো প্রাণীর তুলনায় এর রয়েছে অন্যরকম সহনশীল ক্ষমতা।
বলা হচ্ছে, যদি তারকার বিস্ফোরণ কিংবা গ্রহাণুর আঘাতে পৃথিবীর সব প্রজাতি মারা যায় তবুও পুরোপুরিভাবে প্রাণের অস্তিত্ব নাশ হবে না।
যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষক ড. ডেভিড স্লোয়ান বলেছেন, আমরা গবেষণা করে দেখেছি যে, প্রজাতির মধ্যে সবচেয়ে কঠিন সহ্য ক্ষমতার প্রাণী হচ্ছে টারডিগ্রেড। আমরা প্রবেশ করেছি জ্যোর্তিবিজ্ঞানের নতুন শাখায়। দেখা মিলছে একের পর এক অজানা গ্রহের। এখন আমরা পরীক্ষা করে দেখতে পারি প্রাণীটি কতটা কঠিন পরিবেশে টিকে থাকতে পারে।
তিনি বলেন, গবেষণা করে আমরা অবাক হয়েছি এটা দেখে যে, যদি তারকা বিস্ফোরণ বা গ্রহাণুর আঘাতে মানুষ ধ্বংস হয়ে যায় তবু টারডিগ্রেড প্রাণীদের কোন ক্ষতি হবে না। তাই যদি দেখা যায় প্রাণের বিনাশ ঘটছে তবুও একেবারেই প্রাণ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে সেটা ধরে নেয়া যায় না।
এবার কঠিন প্রাণের ‘পানি ভল্লুক’ সম্পর্কে জানা যাক। ক্ষুদ্রাকৃতির এ প্রাণীটি উচ্চতায় সর্বোচ্চ অর্ধ মিলিমিটার হয়ে থাকে। কোন প্রকার খাবার ও পানি ছাড়াই এটি বেঁচে থাকতে পারে ৩০বছর পর্যন্ত। ঘরের শীতল আবহাওয়া কিংবা সর্বোচ্চ ১৫০ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাও এটি সহ্য করতে পারে।
ড. ডেভিড স্লোয়ান এর সঙ্গে কিছুটা দ্বি-মত পোষণ করে ড. রাফায়েল আলভেস বাতিস্তাতা বলেছেন, আমাদের পরিবেশে খুব সূক্ষ্ম পরিবর্তন ঘটছে, যা তৈরি করছে নাটকীয় প্রভাব। পৃথিবীতে এরকম ধরনের আরো অনাবিষ্কৃত প্রাণী থাকতে পারে। মানুষ মারা যাবার পরও পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে।
তিনি বলেন, টারডিগ্রেড এর অস্তিত্ব এটাই প্রমাণ করে যে, পৃথিবীর বাইরের গ্রহেও এরকম প্রাণীর সন্ধান মিলতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৭
জিওয়াই/আরআই