সোমবার (১৭ জুলাই) দক্ষিণ কোরিয়ার উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী সুহ চো-সুক সংবাদ সম্মেলন করে এই প্রস্তাব দিয়েছেন। অবশ্য, বহু আগে থেকেই উত্তরের সঙ্গে সম্পর্ক সুদৃঢ় করার ইঙ্গিত দিয়ে আসছেন দক্ষিণ কোরিয়ার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন।
তুমুল উত্তেজনার প্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে দুই কোরিয়ার শীর্ষ পর্যায়ে সংলাপ হয়েছিল। সেবার এই সংলাপই উত্তেজনা প্রশমিত করেছিল।
নতুন উত্তেজনা প্রশমনে ফের সংলাপের প্রস্তাব দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে ইতিবাচক জবাব আশা করছি।
তিনি প্রস্তাব দেন, এই সংলাপ দুই দেশের অসামরিক জোনের (ডিএমজেড) পানমুনজম কম্পাউন্ডে উত্তর কোরিয়ার তোংগিলগাক ভবনে হতে পারে।
উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, এই সংলাপের লক্ষ্য হওয়া উচিত কোরীয় উপদ্বীপে আমাদের সুরক্ষিত সীমান্তে সবরকমের প্রতিকূল কার্যক্রম বন্ধ করা, যেন সামরিক পর্যায়ে উত্তেজনা আর না বাড়ে।
গত বছর উত্তর কোরিয়ার পরমাণু বোমা পরীক্ষার প্রেক্ষিতে দেশটির সঙ্গে যোগাযোগের সব হটলাইন বন্ধ করে দিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া। সে হটলাইন পুনরায় চালুর আগ্রহ জানিয়ে দক্ষিণের সমন্বয়করণ বিষয়ক মন্ত্রী চো মিয়ং-জিয়নও পিয়ংইয়ংকে সংলাপে বসার আহ্বান জানান।
এই বিষয়ে উত্তর কোরিয়া এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া না দিলেও আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষার আগে পিয়ংইয়ংয়ের এক মুখপাত্র সংলাপে আগ্রহের কথাই জানিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৭
এইচএ/