নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের ঐ কর্মকর্তা আরও বলেন, গত রোববার (২২ জুলাই) ইউএস ইপি-৩ মডেলের মার্কিন প্লেনটি উড্ডয়নের সময় চাইনিজ জে-১০ মডেলের একটি ফাইটার জেট এত কাছে চলে আসে যে প্লেনটি গতিপথ বদলাতে বাধ্য হয়।
চাইনিজ শহর কিংদাও থেকে ১শ’ ৪৮ কিলোমিটার দূরে মার্কিন ঐ প্লেনটিকে বাধা দেওয়া জেট ফাইটারগুলো অস্ত্রসজ্জিত ছিলো বলে জানান যুক্তরাষ্ট্রের আরেক কর্মকর্তা।
মার্কিন প্লেনকে চীনের বাধা দেওয়ার এরকম ঘটনা নতুন নয়। গত মে মাসে পূর্ব চীন সাগরের আন্তর্জাতিক সীমানায় রাডার শনাক্তকারী মার্কিন একটি প্লেনকে বাধা দেয় এসইউ-৩০ মডেলের দুই চাইনিজ প্লেন। সমুদ্রসীমায় যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর তৎপরতাকে গভীর নজরদারিতে রেখেছে চীন।
২০০১ সালে মার্কিন একটি গোয়েন্দা প্লেনকে চাইনিজ ফাইটার জেট বাধা দিতে গেলে সংঘর্ষে এক চাইনিজ পাইলট নিহত হন। এ ঘটনায় হেইনাইন ঘাঁটিতে মার্কিন প্লেনটি জরুরি অবতরণ করে। ১১ দিন আটকে রাখা ২৪ এয়ার ক্রু’কে ফেরত নিতে ওয়াশিংটন ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়। সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের সময়ের এ ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে তিক্ততা তৈরি হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৭
জিওয়াই/আরআর