এ সপ্তাহের শুরুতে হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভের সদস্যরা সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে বিলটির পক্ষে মত দেন। নতুন এ বিল পাসের কারণে এক ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
উভয় কক্ষেই বিলটি পাস হওয়ায় তা এখন সাক্ষরের জন্য পাঠানো হবে ট্রাম্পের কাছে। প্রেসিডেন্ট সাক্ষর দিলেই তা কার্যকর হবে।
অবরোধ ইস্যুতে রাশিয়ার প্রতি নরম সুরে থাকা ট্রাম্প উভয় সংকটে পড়েছেন। বিলটিতে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা তার রয়েছে। যদি প্রেসিডেন্ট ভেটো দেন তাহলে তা পাস করাতে হাউস এবং সিনেটের দুই তৃতীয়াংশ ভোট লাগবে। বিলটিতে ভেটো দিলো ট্রাম্পের রাশিয়া প্রীতি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠবে। অন্যদিকে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে বিলটি পাস করতে পারবেন হাউস প্রতিনিধিরা।
২০১৪ সালে ইউক্রেনের বর্ধিত ক্রিমিয়া অঞ্চলকে নিজেদের এলাকা দাবি করায় রাশিয়ার ওপর অবরোধ আরোপের এ বিল পাস করলো যুক্তরাষ্ট্র। এমন এক সময়ে রাশিয়ার ওপর অবরোধ আরোপ করা হলো যখন যুক্তরাষ্ট্রের ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দেশটির হস্তক্ষেপ নিয়ে একাধিক তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। রাশিয়ার হস্তক্ষেপের কথা বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন ট্রাম্প।
সপ্তাহের শুরুতে বিলটি হাউসের অনুমোদন পাওয়ার পর শীর্ষ স্থানীয় রিপাবলিকান পল রাইয়ান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে নিরাপদ রাখার জন্যই স্পর্শকাতর বিরোধপূর্ণ বিষয়গুলোতে কঠোর নিয়ন্ত্রণ নীতি অবলম্বনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এ অবরোধ আরোপের সমালোচনা করেছে কিছু ইউরোপীয়ান দেশ। তারা এ অবরোধ আরোপ রাশিয়ার সঙ্গে এনার্জি পাইপলাইন চুক্তিকে বাধাগ্রস্ত করবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৭
জিওয়াই/আরআর