এই সুযোগ পেয়েই টুইটারে বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিয়েছেন ১৯ বছর বয়সী মালালা। ভর্তির নিশ্চয়তার কথা জানিয়ে অক্সফোর্ড কর্তৃপক্ষের দেওয়া একটি ইমেইল বার্তার স্ক্রিনশট সংযুক্ত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিতে পোস্ট করা টুইটে মালালা বলেন, ‘অক্সফোর্ডে যাওয়ার তর আর সইছে না।
তিনি ওই টুইটে তার এ-লেভেল বন্ধুদেরও অভিনন্দন জানান, ‘এ-লেভেলের সব শিক্ষার্থী দারুণ করেছো— এটা খুব ঘাম ঝরানো বছর ছিল। জীবনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য শুভ কামনা থাকলো। ’
অক্সফোর্ডে মালালার স্নাতক করার বিষয় দেওয়া হয়েছে ‘দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতি’। মালালা ভবিষ্যতে রাজনীতিতে নেমে দেশের নেতৃত্ব দিতে চান বলে ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। সেই ইচ্ছে থেকেই তিনি রাজনীতি-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পড়াশোনাকে বেছে নিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই শিক্ষার্থী ছিলেন তার দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত বেনজির ভুট্টো, তারও আগের দুই প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান ও জুলফিকার আলী ভুট্টো।
মিস্টার বিন খ্যাত বিশ্বখ্যাত অভিনেতা রোয়ান অ্যাটকিনসন থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং ব্রিটেনের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে এই অক্সফোর্ডেরই শিক্ষার্থী ছিলেন।
এক হিসাব মতে, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এখন পর্যন্ত মোট ২৭ জন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, ৩০ বিশ্বনেতা (রাষ্ট্র বা সরকার অথবা সংস্থা প্রধান), ৫০ নোবেলজয়ী ও ১২০ জন অলিম্পিক সোনাজয়ী ক্রীড়াবিদ উপহার দিয়েছে।
নারী ও শিশু শিক্ষার পক্ষে কথা বলায় মালালাকে একেবারে কাছ থেকে গুলি করে তালেবানরা। এতে তিনি প্রায় মরতে মরতেও বেঁচে যান। অধিকারের আওয়াজ তোলায় তিনি বিশ্বব্যাপী দারুণ নন্দিত হন। তার চিকিৎসা ও পড়াশোনার খরচ বহনে এগিয়ে আসে পাকিস্তান সরকার এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা। অধিকারের পক্ষে আওয়াজ তোলার স্বীকৃতি হিসেবেই ২০১৪ সালে সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন মালালা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৭
এইচএ/