বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) রাজ্যের রাজধানী চন্ডিগড়ের একটি হাসপাতালে সিজারিয়ানের মাধ্যমে এ সন্তানের জন্ম দেয় নিকটাত্মীয়ের মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া শিশুটি।
এর আগে গত মাসে গর্ভপাতের অনুমতির জন্যে আদালতে আবেদন জানানো হয়।
বিবিসির খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ২২ মিনিটে চন্ডিগড়ের একটি হাসপাতালে শিশুটির সিজার সম্পন্ন হয়। জন্মের সময় মেয়ে শিশুটির ওজন ছিল আড়াই কেজি।
চিকিৎসকরা বলছেন, মা ও মেয়ে হাসপাতালে দু’জনই বেশ ভালো আছে।
সদ্য মা হওয়া মেয়েটি, সে-ই এখনও কৈশোর পার করেনি। হেসে-খেলে, নেচে-গেয়ে উল্লসিত মেয়েটি শৈশব উপভোগে মত্ত ছিল। পছন্দ করে আঁকতেও। দরিদ্র মা-বাবার সঙ্গেই চন্ডিগড়ের একটি ভাড়া ফ্ল্যাটে আদরে সময় অতিবাহিত করছিল সে।
আরও পড়ুন>> ১০ বছরের শিশু ধর্ষিত, ভারতীয় মিডিয়ায় তোলপাড়
কিন্তু এরই মধ্যে কখন যে মা হতে যাচ্ছে, তা বুঝতেই পারেনি শিশুটি। কারণ সে-ই তো এখনও মায়ের কোলে চড়ে ঘুম পাড়ানি গান শুনে ঘুমের রাজ্যে হারিয়ে যায়।
তাই গর্ভবতী হওয়ার পর শারীরিক পরিবর্তন এলেও তা তাকে বিচলিত করেনি। সে জানতো, তার পেটে একটি বড় পাথর হয়েছে।
প্রায় ৭ মাস আগে নিকটাত্মীয়ের দ্বারা পাশবিকতার শিকার হয় ১০ বছরের শিশুটি। বর্তমানে ওই নরপশু কারাগারে বন্দি।
এদিকে প্রথমে শিশুটির সন্তান সম্ভবা হওয়ার বিষয়টি কেউ-ই বুঝতে পারেনি, এমনকি তার মা-বাবাও। গত জুলাইয়ে হঠাৎ পেটে ব্যথা অনুভব করলে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়।
নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সেখানকার চিকিৎসকরা সন্তান সম্ভবা হওয়ার কথা জানালে আকাশ ভেঙে পড়ে শিশুটির মা-বাবার মাথার ওপর! আর তখনই তা জানাজানি হয়।
পরে অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশুটির গর্ভপাত করতে চন্ডিগড়ের একটি আদালতে আবেদন জানানো হয়। তবে চিকিৎসক প্যানেলের সঙ্গে আলোচনা শেষে তা খারিজ করে দেন আদালত।
তখন আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়, গর্ভপাতের নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে যাওয়ায় ভারতীয় আইন অনুযায়ী সে আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। এরপর এ নিয়ে গণমাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়।
এ অবস্থায় গর্ভবর্তী শিশুটির গর্ভের সন্তানের দায়িত্ব নেয় স্থানীয় একটি দাতব্য সংস্থা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৭
এমএ/