মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ বলছে, বৈজ্ঞানিক গবেষণার একটি অংশ হিসেবে সূর্যগ্রহণের দিন বেলুনে করে ব্যাকটেরিয়া পাঠাতে যাচ্ছে নাসা। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নাসার একটি টিম শতাদিক বেলুন ছাড়বে।
নাসার গবেষকরা জানান, মঙ্গল গ্রহে অভিযানের প্রস্তুতি হিসেবে এই পরীক্ষা চালাচ্ছেন তারা। ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলো পৃথিবীর মাটি থেকে ৮৫ হাজার ফুট ওপরে কেমন আচরণ করে, তা জানার চেষ্টা চালানো হবে।
পৃথিবীর স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার বা ভূপৃষ্ঠের দশ থেকে ষাট কিলোমিটারের মধ্যবর্তী স্থানের পরিবেশের সঙ্গে মঙ্গলগ্রহের ভূপৃষ্ঠের পরিবেশের অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। এ অঞ্চলের বায়ুচাপ, তাপমাত্রা ও তেজস্ক্রিয়তার পরিমাণ মঙ্গলের পরিবেশের অনেকটা কাছাকাছি। আর সূর্যগ্রহণের সময় এই পরিবেশটা আরও বেশি মিলে যায় বলে তা আরও নির্ভুল তথ্য দিতে পারবে— বিশ্বাস গবেষকদের।
নাসার প্ল্যানেটারি সায়েন্সের ডিরেক্টর জিম গ্রিন জানান, বেলুন পরীক্ষার মাধ্যমে জ্যোতির্জীববিজ্ঞান (অ্যাস্ট্রোবায়োলজি) সম্পর্কিত অনেক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে। মঙ্গল অভিযানের সময় এই ব্যাকটেরিয়াগুলো মানুষের জন্য হুমকি হয়ে দেখা দেবে কিনা তা জানা যাবে। অথবা জানা যাবে ক্ষতিকর এই ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে মুক্তি পেতে মানুষ কী প্রতিষেধক গ্রহণ করবে।
নাসার এই বেলুনের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া পরীক্ষা করা ছাড়াও বেলুনে সংযুক্ত ক্যামেরার মাধ্যমে পৃথবীবাসী সরাসরি সূর্যগ্রহণ দেখতে পাবে।
প্রায় ৯৯ বছর পর সোমবার পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। ১৯১৮ সালের ৮ জুন শেষবার পূর্ণগ্রাসের সাক্ষী হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রবাসী।
২১ তারিখের সূর্যগ্রহণ ইউরোপ ও উত্তর-পূর্ব এশিয়ার কিছু দেশ থেকেও দেখা যাবে। তবে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশ থেকে তা দেখা যাবে না।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৭
এনএইচটি/এইচএ/