লন্ডন: ইসরায়েলের একজন শীর্ষ ধনী ও বিতর্কিত নারী অফরা স্ত্রসের সঙ্গে ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের ব্যক্তিগত সম্পর্কটা একটু বাড়াবাড়ি রকমের ছিল বলে গুজব উঠেছে। মধ্যপ্রাচ্য শান্তিদূত থাকার সময়ে ব্লেয়ারের ঘন ঘন ইসরায়েল সফর এবং ওই নারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ ‘তাদের মধ্যে প্রণয় ছিল’ এই বিশ্বাসকেই জোরালো করছে।
সম্প্রতি একটি ব্রিটিশ পত্রিকাতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ব্লেয়ারের স্ত্রী শেরি স্ত্রস-ব্লেয়ারের সম্পর্কের বিষয়ে ইসরায়েলি গণমাধ্যমকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বলেছেন।
৫১ বছর বয়সী স্ত্রসের ডিভোর্স হয়েছে গত বছর। এর পর থেকেই তাকে ব্লেয়ারের সঙ্গে দেখা যেত। ব্লেয়ার মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনার দূত হিসেবে প্রায়ই ইসরায়েল সফর করতেন।
এই জুুটির মধ্যে সম্পর্ক এতই খোলামেলা ছিল যে, ইসরায়েলের হিব্রু ভাষার একটি প্রথম সারির দৈনিকের একজন কলামিস্ট শেরির কাছে খোলা চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে তিনি শেরিকে ব্লেয়ারের আচরণ শুধরে দিতে বলেছেন।
ব্রিটেনের দৈনিক ডেইলি মেইল ‘ফর দ্য ইনফরমেশন অব মিসেস ব্লেয়ার’ শিরোনামের ওই চিঠিটি উদ্ধৃত করে এই তথ্য জানিয়েছে।
চিঠিতে লেখা ছিল, ‘এই ছুটিতে ব্লেয়ারের অফিসিয়াল গাড়িটি সন্তর্পণে অফরার বাড়ির গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। খারাপ লোকেরা এই সফরের নেপথ্যে যৌন সম্পর্কের গন্ধ খোঁজার জন্য আমাকে বলছে। তাই আমি আপনাকে এই চিঠিখানা দিলাম, যাতে আপনি ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টির একটা বিহিত করেন। ’
তবে স্ত্রসের মুখপাত্র রনি রাহাভ এরকম অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘যদি কেউ বলে থাকে যে, তাদের মধ্যে রোমান্টিক সম্পর্ক রয়েছে, তাহলে তা হবে সত্যিই হাস্যকর। ’
রাহাভ বলেন, ‘তাদের মধ্যে ওরকম কোন সম্পর্ক কখনোই ছিল না। এর আগে এধরনের কুৎসিত প্রশ্ন আমাকে কেউ করেনি। তারা দুজনে খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন এই পর্যন্তই। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১১