সম্প্রতি রাজ্যটির ভিলওয়ারার পারিবারিক আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। দেশটিতে স্ত্রী তার স্বামীকে তালাক দিতে হলে নির্যাতন ও পরিবারিক সহিংসতার বিষয়টি উল্লেখ করতে হয়।
দুই বছর আগে ২০১৫ সালে মামলা করেন ওই স্ত্রী। ২০১১ সালে তার বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়িতে টয়লেট না থাকায় সমস্যায় পড়েন। অনেক দিন সহ্য করে স্বামীকে অনুরোধ করতে থাকেন, তবে কোনো কাজ হয়নি।
একজন নারী আইনজীবী আদালতের বিচারকের বরাতে জানিয়েছেন, খোলা কোথাও মলত্যাগ একটি যন্ত্রণার নাম। বিশেষ করে নারীদের জন্য।
বিচারক রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, ভারতীয় জনতা তামাকে অর্থ ব্যয় করেন। বিভিন্ন পানীয় এবং মোবাইল ফোন কিনেন। কিন্তু পরিবারের মর্যাদা রক্ষা করার জন্য একটি টয়লেট তৈরি করেন না!
এখনও ভারতের অনেক রাজ্যের গ্রামে নারীরা সূর্য ওঠার আগেই নিজেদের প্রাকৃতিক কর্ম সারেন এবং আবার সূর্য ডোবার পরে। এই বিষয়টিকে শুধুমাত্র শারীরিক নিষ্ঠুরতা নয়, নারীর প্রতি পুরুষের শালীনতা বর্জনমূলক আচরণও, উল্লেখ করেছেন বিচারক।
উল্লেখ্য, ভারত সরকার ২০১৯ সালের মধ্যে প্রত্যেক বাড়িতে টয়লেট তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৭
আইএ