বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৪৭ মিনিটে গ্রহণ শুরু হয়ে রাত ৩টা ৪ মিনিট ১৮ সেকেন্ডে এটি শেষ হবে। প্রায় এক শতাব্দী পর এই পূর্ণ বলয় গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি, ওরেগন, নেব্রাস্কা, মিসৌরি, নর্থ ক্যারোলিনা, সাউথ ক্যারোলিনা, জর্জিয়া, মিডওয়ে হ্যাটল দ্বীপ ও হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ থেকে।
বাংলাদেশের পাশাপাশি এই দক্ষিণ এশিয়ার বিরাট অংশও এই বিরল সূর্যগ্রহণ দেখা থেকে বঞ্চিত হবে। দেখা যেতে পারে জাপানসহ প্রাচ্যের কিছু অংশেও।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানায়, দীর্ঘ ৯৯ বছর পর দেখা যাচ্ছে এই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। বিভিন্ন প্রস্তুতির পাশাপাশি সূর্যগ্রহণের মুহূর্তটা যেন সারাবিশ্বের মানুষ দেখতে পায়, এই উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্যামেরাযুক্ত বেলুন ওড়াবে নাসা। সূর্যগ্রহণের প্রভাব
বিশেষজ্ঞদের মতে, সূর্যগ্রহণের প্রভাবে অদ্ভুত আচরণ করতে দেখা যেতে পারে পশু-পাখিদের। নিশাচর প্রাণীরা, বিশেষত পেঁচা দিনের বেলায়ই রাত ভেবে জেগে যেতে পারে। মাঠে ঘাস খাওয়ার সময় ভেড়ার পাল খুঁজতে শুরু করতে পারে ঘুমানোর জায়গা। আর দিনের পাখিরা রাত মনে করে বন্ধ করে দেবে কলরব, আশ্রয় নেবে নীড়ে। রাতে চলাচল করা পতঙ্গ ও প্রজাপতিদের নিয়মে বাধার সৃষ্টি হতে পারে। পোষা বিড়াল ও কুকুরও বিরক্ত বোধ করতে পারে এসময়।
সূর্যগ্রহণের সময় যেসব সাবধানতা জরুরি
১. সূর্যগ্রহণের সময় খালি চোখে সূর্যের দিকে তাকাবেন না। এতে চোখের রেটিনার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
২. এ সময় খাওয়া-দাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। একান্তই প্রয়োজন হলে অবশ্যই খোলা জায়গায় বসে খাবেন না। কারণ এ সময় খাবারে দূষণ ও বিষক্রিয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
৩. গ্রহণের সময় বিনাপ্রয়োজনে বাইরে না যাওয়াই উত্তম।
৪. গ্রহণের পরপরই গাছ থেকে ফল-সবজি-পাতা সংগ্রহ করে খাবেন না।
৬. সূর্যগ্রহণ দেখতে চাইলে অবশ্যই অত্যাধুনিক অপটিক্যাল যন্ত্রপাতি ব্যবহার করবেন।
৭. সহজেই রশ্মি প্রতিফলিত হয়, যেমন আয়না, গাড়ির কাঁচ এরকম ধাতুর সংস্পর্শে না আসাই ভালো গ্রহণ চলাকালে।
শেষবার ২০০৯ সালের ২২ আগস্ট বাংলাদেশের পঞ্চগড় থেকে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখছিলো দেশবাসী। আবার এরকম পূর্ণগ্রাস গ্রহণ দেখতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হবে আরও ১০৫ বছর। সূর্যগ্রহণের প্রভাব বাংলাদেশে না পড়লেও সবাইকে সতর্ক থাকার পরমর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৭
এনএইচটি/এইচএ/