স্থানীয়দের উদ্ধৃতি দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টায় মারা গেছেন শতাধিক বেসামরিক সিরীয় নাগরিক। তাদের মধ্যে ৫৫ জন মারা গেছেন রাক্কা নগরীর পূর্বাঞ্চলীয় বেদৌ ও আল সুখানি এলাকায়।
অপরদিকে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন সিরিয়ান অবজার্ভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) জানায়, সোমবার ১৯ নারী ও ১২ নারীসহ মার্কিন বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন ৪২ জন বেসামরিক নাগরিক। এছাড়া রোববার মারা যায় আরও ২৭ জন।
বর্তমানে আইএস এর দখলে থাকা রাক্কা নগরীতে স্থলপথে অভিযান পরিচালনা করছে মার্কিন সমর্থন পুষ্ট সিরীয় এসডিএফ বাহিনী। এই বাহিনীর অধিকাংশ যোদ্ধাই কুর্দি। আকাশ পথে বিমান হামলার মাধ্যমে তাদের সমর্থন যোগাচ্ছে মার্কিন যুদ্ধবিমানগুলো।
এদিকে অবরুদ্ধ রাক্কায় খাদ্য, পানি, চিকিৎসা ও অন্যান্য জরুরি সেবার তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন ডক্টরস উইদাউট বর্ডার।
রাক্কার পরিস্থিতির ভয়াবহতার কথা উল্লেখ করে সেখান থেকে পালিয়ে আসা এক ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমকে জানান, আপনি যদি বিমান হামলায় মারা না যান, তবে মর্টারে মরবেন, যদি মর্টারে মারা না যান, তবে স্নাইপারদের গুলিতে মারা পড়বেন, যদি স্নাইপারদের গুলিতে মারা না পড়েন তবে আপনি পেতে রাখা বোমায় মরবেন, যদি তাতেও আপনি না মারা পড়েন, তবে আপনি খাদ্য ও পানির অভাবে মারা পড়বেন।
ওই ব্যক্তি রাক্কা থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও তাকে হারাতে হয় পরিবারের সাত সদস্যকে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আইএস যোদ্ধাদের উপস্থিতির কোনো চিহ্ন পেলেই সেখানে নির্বিচারে বোমা ফেলছে মার্কিন জোটের যুদ্ধবিমানগুলো। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব বোমায় প্রাণ হারাচ্ছেন নিরীহ বেসামরিক নাগরিকরা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৭
আরআই