বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) প্রিটোরিয়ায় নিযুক্ত মায়ানমার দূতাবাসের মাধ্যমে সু চি’কে দেওয়া এক খোলা চিঠিতে এই আহ্বান জানান টুটু। চিঠিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রকাশ হয়েছে।
এতে টুটু জানান, তিনি সু চি’কে তার অত্যধিক প্রিয় বোনের মতো দেখেন এবং তার একটি ছবি টুটুর ডেস্কে থাকতো, সে ছবির দিকে তাকিয়ে তিনি সু চি’র গণতন্ত্র ও মানবাধিকার আন্দোলনের কথাই ভাবতেন সবসময়।
ম্যান্ডেলার দেশের এই জনপ্রিয় ব্যক্তি সু চি’র উদ্দেশে বলেন, এই (রোহিঙ্গা ইস্যুতে) নীরবতা যদি হয় মায়ানমারের সর্বোচ্চ কার্যালয়ে আরোহণের রাজনৈতিক মূল্য, তবে এ মূল্য সত্যিই চড়া!
রোহিঙ্গাদের দুঃখ-ক্লেশের চিত্র সবার মনে যন্ত্রণা ও ভয় ধরিয়ে দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ধরনের একটি দেশের (মানবতা যেখানে লঙ্ঘিত হচ্ছে) নেতৃত্বে একজন ন্যায়পরায়ণতার প্রতীক ব্যক্তিত্বের থাকা খুবই বেমানান।
গণতন্ত্রের জন্য মায়ানমারের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জিতে নেওয়া সু চি’কে রোহিঙ্গাদের পক্ষে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে টুটু বলেন, এসব ভয়ঙ্কর চিত্র সামনে আসতে থাকার সঙ্গে সঙ্গে আমরা আপনার জন্য প্রার্থনা করছি, আপনি আবার ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও জনৈক্যের জন্য সাহসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হোন, হয়ে উঠুন স্পষ্টভাষী।
এদিকে, রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সংগঠন। তারা রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে স্থিতিশীলতা ফেরাতে জাতিসংঘের গঠিত কফি আনান কমিশনের সুপারিশমালা অনতিবিলম্বে বাস্তবায়নেরও আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৭
এইচএ/