এ ঘটনাকে ‘সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ’ বলে উল্লেখ করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি (আইসিআরসি) এই ত্রাণ সহায়তা পাঠায় রাখাইনে।
প্রতিবাদকারীরা লাঠি ও ধাতুর বার নিয়ে ত্রাণ রুখে দিতে টহল দেয়। বিক্ষোভ করে। এ সময় পেট্রোল বোমা নিক্ষেপেরও ঘটনা ঘটে। পুলিশ এসে ফাঁকা গুলির মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। তবে তাৎক্ষণিক দাতা সংস্থা ও পুলিশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে রাজ্যটিতে রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ পাঠায় তুরস্ক।
এদিকে মিয়ানমারের ভাইস প্রেসিডেন্ট হেনরি ভ্যান থিও জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণে দাবি করেছেন, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানে পরিস্থিতির আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে।
জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইএমও) বলছে, সহিংসতার শিকার হয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী পালিয়ে এসেছেন প্রায় সোয়া চার লাখ। তবে বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা সাড়ে পাঁচ লাখ ছাড়িয়েছে। সহিংসতায় প্রাণ গেছে তিন হাজারের বেশি মানুষের। বেসরকারিভাবে এই সংখ্যা দশ হাজার পার করেছে।
মিয়ানমারে গণহত্যা চলছে, বললেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট
ঘটনার শুরু গত ২৪ আগস্ট দিনগত রাতে রাখাইনে যখন পুলিশ ক্যাম্প ও একটি সেনা আবাসে বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এর জেরে ‘অভিযানের’ নামে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে। ফলে লাখ লাখ মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য চলে আসছেন।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতিগত দ্বন্দ্বের জেরে ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে দেশটির উত্তর-পূর্ব রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত মুসলিম রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। সহিংসতার শিকার হয়ে গত বছরের অক্টোবরেও প্রায় ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৭
আইএ