বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানায়। বিরোধীদলের একজন সংসদ সদস্যের অভিযোগের প্রেক্ষিতে চলতি মাসে প্রেসিডেন্টের ছেলে পাওলো দুতার্তের (৪২) বিরুদ্ধে সিনেটে তদন্ত শুরু হয়।
প্রেসিডেন্ট দুতার্তে এ অভিযোগের বিষয়ে বিশেষভাবে কিছু বলেননি। কিন্তু গতবছর নির্বাচনী প্রচারাভিযানের সময় বলেছিলেন, তার সন্তানদের মধ্যে কেউ মাদকের সঙ্গে জড়িত নয়। তবে তারা যদি জড়িত হয়, তাহলে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে ম্যানিলায় প্রেসিডেন্ট প্যালেসে সরকারি কর্মকর্তাদের সামনে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘আমি আগেই বলেছিলাম, যদি আমার কোনো সন্তান মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকে, তবে তাদের মেরে ফেলুন। যাতে মানুষ আমাকে তাদের কথা বলতে না পারে। আমি পুলংকে (পাওলোর ডাকনাম) বলেছি, যদি তুমি সত্যি দোষী হও, তবে আমার আদেশে তোমাকে মেরে ফেলা হবে। আর যারা তোমাকে মারবে, আমি তাদের সুরক্ষা দেবো।
পাওলো দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের শহর দাভাওয়ের মেয়র। তবে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। পাওলো বলেন, এটার কোনো ভিত্তি নেই।
চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে দেশ থেকে মাদক নির্মূলের ঘোষণা দিয়ে ফিলিপাইনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হন দুতার্তে (৭২)। নির্বাচিত হয়ে দেশ থেকে মাদক ব্যবসা ও পাচার নির্মূলে নানা পদক্ষেপ নেন তিনি।
দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এ পর্যন্ত মাদকবিরোধী অভিযানে প্রায় চার হাজারের মতো মানুষকে হত্যা করেছে দেশটির পুলিশ বাহিনী। এ ছাড়া বিচারবহির্ভূতভাবে কয়েক হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।
রদ্রিগো দুতার্তে বলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ৩০ লাখ মাদকাসক্তকে হত্যা করতে পারলে খুশি হবো। তবে তিনি এও বলেন, পুলিশকে অবৈধ কিছু করার নির্দেশ দিইনি। তাদের কেবল আত্মরক্ষার জন্য হত্যা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৭
এমএ