দেশটির প্রধানমন্ত্রী রুজভেল্ট স্কেরিত বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় একটি টেলিভিশনকে এ কথা জানান। গত সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ডোমিনিকার ওপর আছড়ে পড়েছিল চার নম্বর ক্যাটাগরির এই হারিকেনটি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, হারিকেনটির তীব্রতা অনুযায়ী এতে আমাদের আশঙ্কা অনুযায়ী প্রাণহানি হয়নি। এটা একেবারে অলৌকিক মনে হচ্ছে। তবে ঝড়ের কারণে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোর বাড়িঘর ও অন্যান্য স্থাপনা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অ্যান্টিগুয়া দ্বীপের কাছে একটি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এটা নির্দয় এক ঘূর্ণিঝড় ছিল। আমরা কখনো এমন ধ্বংসযজ্ঞ দেখিনি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভূমিকম্পের ফলে বাড়িঘরের চাল যেমন উড়ে গেছে, তেমনি অনেক স্থানে বাড়িঘর ধসে পড়েছে। ভেঙে গেছে স্কুলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও। ঘূর্ণিঝড়ের পর এখন পর্যন্ত দ্বীপের প্রধান হাসপাতালে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
ডোমিনিকায় তাণ্ডব চালানোর আগে এই হারিকেন ধ্বংসযজ্ঞ চালায় ক্যারিবিয়ান সাগরে যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল পুয়ের্তো রিকোতে। দ্বীপপুঞ্জটি এখনও বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে।
ডোমিনিকায় আঘাতের পর কিছুটা দুর্বল হয়ে ৩ নম্বর ক্যাটাগরির হারিকেন হয়ে ‘মারিয়া’ এখন যাচ্ছে আরও পশ্চিমে তুর্কস এবং কাইসস দ্বীপপুঞ্জের দিকে। হারিকেনটি সৃষ্টির শুরুর সময় এর গতিপথ ছিল সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় আঘাত হানা ‘ইরমা’র মতো, ক্যাটাগরি সর্বোচ্চ ৫ নম্বরে পর্যন্ত উঠেছিল। এখন এই ‘মারিয়া’ শেষ পর্যন্ত ফ্লোরিডায়ই যায় কিনা, সেদিকে নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৭
এইচএ