শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এই ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়। তবে এর গভীরতা ছিল না।
এর আগে উত্তর কোরিয়ায় যে ভূমিকম্প অনুভূত হয়, সেটি তাদের পরমাণু বোমা পরীক্ষার নির্দেশক ছিল। যদিও এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। শনিবারের এই কম্পনও সেই পরমাণু বোমা পরীক্ষা এলাকায় হয়েছে।
পরমাণু কার্যক্রম পর্যবেক্ষক সংস্থা সিটিবিটিও জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ায় কোনো অস্বাভাবিক ভূমকম্পনের কার্যকলাপ ঘটেছে কিনা তা তারা পরীক্ষা করছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার আবহাওয়া অধিদফতর বলেছে, তারাও ভূমিকম্পটির গতিপ্রকৃতি বিশ্লেষণ করছে। তবে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে তারা মনে করছে, এটা প্রাকৃতিক ভূমিকম্পই ছিল।
সপ্তাহখানেক উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, তারা হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষা চালাতে পারেন। এই কম্পন সেই বোমার পরীক্ষার ফলেই হয়েছে কিনা এ বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।
পিয়ংইয়ংয়ের পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে ঘিরে কয়েক মাস ধরে উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। সবশেষ এই উত্তেজনার জেরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন পরস্পরকে ‘পাগল’ বলে অভিহিত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৭
এইচএ