সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। এতে জানানো হয়, কক্সবাজারের চার উপজেলা সদর, উখিয়া, টেকনাফ ও রামুর ৮৫টি এলাকার ১৪৩টি অবস্থানে সমীক্ষা চালিয়ে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
সমীক্ষার প্রতিবেদনে বলা হয়, গত জুলাইয়ে মিয়ানমারের নাগরিকদের বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার যে রেকর্ড ছিল, এবার তা অন্তত ৩ দশমিক ৭ গুণ বেড়ে গেছে। এখন বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৫৩ শতাংশই নারী ও কন্যাশিশু, যা সংখ্যায় দাঁড়ায় ৩ লাখ ১৯ হাজার ৭৪৬। আর আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৫৮ শতাংশই ১৮ বছরের কম বয়সী শিশু, যাদের আবার ২৯ শতাংশের বয়স ৫ বছরের কমে।
এই রোহিঙ্গারা বিশেষত বালুখালী, লেদা ও কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্প এলাকায় বসবাস করছে জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, সমীক্ষার আওতায় আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৩১ শতাংশ পাচ্ছে আশ্রয় এবং এনএফআই সহায়তা (নন-ফুড আইটেম)। তিনটি স্থান পাচ্ছে আশ্রয় স্থাপন সংক্রান্ত সরঞ্জাম। কোনো স্থানেই এখন পর্যন্ত কম্বল, টুথব্রাশ বা টুথপেস্ট পাওয়ার তথ্য মেলেনি।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, সমীক্ষা পরিচালিত এলাকায় সবচেয়ে বেশি উদ্বেগজনক হয়ে দেখা দিয়েছে ডায়রিয়া। রোহিঙ্গা বসবাসের ৭৪ শতাংশ এলাকায় ডায়রিয়ার তথ্য মিলেছে। আর সমীক্ষা এলাকার অর্ধেকেরও বেশি স্থানে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র নেই অথবা থাকলেও রয়েছে ৩০ মিনিটেরও বেশি দূরত্বে। ৩১ শতাংশ এলাকায় জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক বা অন্যান্য বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে খাবার পাচ্ছে মিয়ানমারের নথিহীন নাগরিকেরা।
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নৃশংস অভিযান পরিচালনার কারণে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি ও সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং লাইংসহ দেশটির বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে সমালোচনা চলছে। আইওএম কেবল আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের তথ্য দিলেও বিভিন্ন সংস্থা বলছে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নৃশংস কায়দায় ৩ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গাকে হত্যা করেছে। জ্বালিয়ে দিয়েছে রাখাইনের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত ৫০ শতাংশ গ্রাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৭
এইচএ/
** রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কলেরা মহামারির শঙ্কা: হু