ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

কার্টুন এঁকে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা বিরোধী প্রচারণা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৭
কার্টুন এঁকে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা বিরোধী প্রচারণা কার্টুন এঁকে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা বিরোধী প্রচারণা। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: রাখাইন রাজ্যে মুসলমান জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের কার্টুন এঁকে প্রচারণা শুরু হয়েছে মিয়ানমারে। এরই মধ্যে শতশত বছরের নিজ বাসভূম থেকে বিতারিত রোহিঙ্গাদের নিয়ে যেসব কার্টুন দেশটির কার্টুনিস্টরা এঁকেছেন তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। 

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে এমনটা জানানো হয়েছে। খবরে বলা হয়, রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হলেও মিয়ানমারের মানুষের মনোভাব পুরোপুরি বিপরীত।

বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, মিয়ানমারের সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে যেসব কার্টুনিস্ট জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন, তারা এখন রোহিঙ্গাদের লক্ষ্য করে নানা ধরনের বিদ্রুপাত্মক কার্টুন আঁকছেন।

এর মধ্যে ‘কুমিরের কান্না’ শিরোনামে একটি কার্টুন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বেশি প্রচার হয়েছে। ওই কার্টুনে দেখানো হয়, আহত কিছু প্রাণীর মধ্য থেকে একদল কুমিরের ছানা সাঁতার কেটে পশ্চিমা ক্যামেরাম্যানের কাছে গেছে।

সেখানে গিয়ে মাইক্রোফোনের সামনে একটি কুমির বলছে, ‘আমি মাতৃভূমি ছাড়তে বাধ্য হয়েছি। ’

জন্মভূমি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নির্যাতন সইতে না পেরে স্বজন ও সহায়-সম্বল হারিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি এ কার্টুনটিতে স্পষ্ট ইঙ্গিত করা হয়েছে।  

 কার্টুন এঁকে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা বিরোধী প্রচারণা।  ছবি: সংগৃহীতমিয়ানমারের একজন প্রখ্যাত কার্টুনিস্ট ইউ নাইং বলেন, ‘রোহিঙ্গারা যেসব কথা বলছে সেগুলো সত্য নয়। ’

৫৮ বছর বয়সী এ কার্টুনিস্ট বলেন, আমি আমার কাজের মাধ্যমে বর্তমান পরিস্থিতিতে শুধু চিন্তার খোরাক জুগিয়েছি। আমরা দেশপ্রেমে চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে কার্টুন আঁকি।

মিয়ানমারের সামরিক শাসকরা কয়েক দশক ধরে দেশটির জনসাধারণকে প্রযুক্তি, বিতর্ক ও মতামত থেকে দূরে রাখে। সে দেশের জনসাধারণ কোনো বিষয় নিয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারতেন না।

গত ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। যাদের আসা এখনও অব্যাহত রয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৭
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।