বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছিলেন গ্রান্দি। রোহিঙ্গা সংকটের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সফর করে যাওয়ার বিষয়ে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকেন তিনি।
ইউএনএইচসিআর প্রধান আশা প্রকাশ করেন, দেশান্তরী রোহিঙ্গাদের বিষয়ে আগামী সপ্তাহে জেনেভায় মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হবে। সেখানে সমস্যার সমাধান খোঁজার চেষ্টা করা হবে।
গ্রান্দি বলেন, এটা একেবারেই স্পষ্ট যে, এই সংকটের সৃষ্টি মিয়ানমারে এবং সমাধানও মিয়ানমারের কাছে। তাদেরই এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।
সংকটের দ্রুত নিরসনের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের এই সংস্থা প্রধান সতর্কতা উচ্চারণ করে বলেন, সমস্যাটির সমাধান না হলে কিছু এলাকায় সন্ত্রাসী সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা অনেক অনেক বেশি।
গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে রাখাইন রাজ্য থেকে সাড়ে ৪ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। অভিযানে নিহত হয়েছে ৩ হাজারেরও বেশি নিরীহ রোহিঙ্গা। ধর্ষিত হয়েছে শত শত কিশোরী-তরুণী-গৃহবধূ।
এই সহিংসতার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠলে সম্প্রতি ভাষণ দিয়ে সংকটের সমাধানে আগ্রহ দেখান মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি। কিন্তু তিনি নির্বিচারে মানুষ হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করলে তারও সমালোচনা শুরু হয় বিশ্বব্যাপী। রোহিঙ্গাদের স্রোতে কক্সবাজারে সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয় সরাসরি দেখতেই সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করে যান ইউএনএইচসিআর প্রধান গ্রান্দি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৭
এইচএ/