লন্ডন: ব্রিটেনের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভারত এবং ইউরোপের বাইরের দেশগুলো থেকে আসা শিক্ষার্থীদের ওপর প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নজরদারি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে করে এমন উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গুপ্তচর হয়ে গেছেন।
ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন এক আইনের আওতায় কর্তৃপক্ষকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নতুন এক সরকারি তথ্যে জানা গেছে, যুক্তরাজ্যের সীমান্ত সংস্থার কাছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ব্যয় বহনকারী প্রতিষ্ঠানের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, গত বছরের আগস্টসহ আগের ১৮ মাস পর্যন্ত কমপক্ষে ২৭ হাজার ১২১ জন অ-ইউরোপীয় ছাত্র ব্রিটেনে পড়তে এসেছেন।
নতুন আইনের আওতায় বিদেশি (অ-ইউরোপীয়) শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রক্রিয়া কঠিন করা হয়েছে এবং অপব্যহার রোধে কঠোর ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিদেশি শিক্ষার্থীরা ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলে বা তাদের আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে অভিবাসন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন করতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ইউনিয়ন (ইউসিইউ) জানায়, শিক্ষার্থীদের ওপর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নজরদারি ক্যাম্পাসে অবিশ্বাসের পরিবেশ সৃষ্টি করবে। এতে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীর সম্পর্ক তিক্ত হতে পারে।
এই আইনের ফলে কলেজ এবং বিশ্ব¦বিদ্যালয়গুলোকে এখন থেকে অভিবাসন কর্তৃপক্ষের কাছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশের সন্দেহভাজন, ঝুঁকিপূর্ণ এবং ভুয়া ছাত্রদের বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
উল্লেখ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের ছাত্ররা ব্রিটেনের শিক্ষার্থীদের তিনগুণেরও বেশি টিউশন ফি দিয়ে থাকে। ইউনিয়ন আরও জানায়, এর ফলে ব্রিটেন বাইরের শিক্ষার্থীদের কাছে আকর্ষণ হারাবে।
ইউসিউর সাধারণ সম্পাদক স্যালি হান্ট জানান, ‘ছাত্র এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ- যা তৈরি হয় বিশ্বাসের ভিত্তিতে। এটা খুবই আশঙ্কার কথা, শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দাগিরি করছেন। ’
বাংলাদেশ সময়: ২২৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১১