গত বুধবার (৪ অক্টোবর) ম্যানচেস্টারে ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির এক সম্মেলনে এমনই অনভিপ্রেত পরিস্থিতিতে পড়তে হলো টেরিজাকে। যদিও বিরতি দিয়ে পরে বক্তৃতা চালিয়ে গেছেন টেরিজা।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, গ্রেট ব্রিটেনে কাউকে চাকরি থেকে বিদায় করার পর ‘পি৪৫’ কোডের একটি চিঠি দেওয়া হয়, সাধারণত এতে বিদায় করে দেওয়া কর্মীর যাবতীয় আমলনামা থাকে। এমনই একটি চিঠি মঞ্চে বক্তৃতারত টেরিজার হাতে ধরিয়ে দেন মধ্যবয়সী এক ব্যক্তি।
এই চিঠিতে টেরিজাকে অপসারণের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ‘দৃঢ়তা ও স্থিতিশীলতা না থাকা’র বিষয়টি। একইসঙ্গে কনজারভেটিভ পার্টির নির্বাচনী স্লোগানকে বিদ্রুপ করে বিরোধী লেবার পার্টির নেতাদের জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়তে থাকার বিষয়টিও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
মঞ্চ থেকে নেমে ওই ব্যক্তি সামনের আসনে বসা কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনের দিকে তেড়ে যান এবং তাকে উদ্দেশ্য করে চিৎকার-চেঁচামেচি করতে থাকেন।
তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাকে মিলনায়তন থেকে বের করে নিয়ে যান। এসময় টেরিজার সমর্থকরা করতালিতে মুখর করে তোলেন আয়োজনস্থল।
কী জন্য ঠিক এই অপসারণপত্র ওই ব্যক্তি টেরিজাকে দিয়েছেন, তা জানা না গেলেও, ধারণা করা হচ্ছে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভদের নীতিতে বিরক্ত হয়ে দলের ওই সমর্থক প্রধানমন্ত্রীকে এই প্রতিবাদী চিঠি দিয়েছেন।
এরইমধ্যে চিঠিটি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনেকে মজা করে সেই ব্যক্তিকে ‘লিজেন্ড’ উপাধি দিচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৭
এইচএ