শনিবার (৭ অক্টোবর) পার্টির প্রভাবশালী কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় ৩০ বছর বয়সী ইয়ো-জংকে এই পদোন্নতি দেওয়া হয়। সভাপতির পর অন্যতম সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারক এই পদে আগে ছিলেন প্রয়াত প্রেসিডেন্ট কিম জং-ইলের বোন অর্থাৎ জং-উন ও ইয়ো-জংয়ের ফুফু কিম কিয়ং-হি।
এ বিষয়ে উত্তর কোরিয়া বিশেষজ্ঞ মাইকেল ম্যাডেন বলেন, ইয়ো-জংকে নেতৃত্বে আনার মাধ্যমে রাষ্ট্রে কিম পরিবারের কর্তৃত্ব আরও পোক্ত হলো।
গত জানুয়ারিতে উত্তর কোরিয়ার যে কয়েকজনকে যুক্তরাষ্ট্র তাদের ‘কালো তালিকায়’ অন্তর্ভুক্ত করেছিল, তাদের মধ্যে ছিলেন ইয়ো-জংও। তার বিরুদ্ধেও ছিল ‘মারাত্মক মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ অভিযোগ। এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় ইয়ো-জংকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা এবং তার সঙ্গে মার্কিন কোম্পানির লেনদেনে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।
ইয়ো-জং তার ভাই জং-উনের সঙ্গেই ১৯৯৬ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত সুইজারল্যান্ডে পড়াশোনা করেন। এরপর তিনি দেশে ফিরে কিম ইল-সং মিলিটারি ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়ে পড়েছেন বলে ধারণা করা হয়।
গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে তার জন্য জং-উন পাত্র খুঁজছেন বলে জানা গেলেও এরপর বিয়ের আয়োজন হয়েছিল কিনা তা জানা যায়নি। তবে কথিত আছে, ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে এক সরকারি কর্মকর্তার ছেলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল, এমনকি সে বছরের মে মাসে তার অন্তঃস্বত্ত্বা হওয়ার গুঞ্জনও ছড়িয়েছিল।
তাকে প্রথম রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেখা যায় ২০১০ সালে ওয়ার্কার্স পার্টির এক সম্মেলনে। ২০১৪ সালের নভেম্বরে তাকে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রচারণা বিভাগের উপ-পরিচালক পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০১৫ সালের মার্চ থেকে ইয়ো- জং ওই বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ইয়ো-জং একটি মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী হিসেবেও কাজ করছেন বলে মনে করা হয়, যদিও তার দফতরের বিষয়ে কিছু জানে না কেউ।
ইয়ো-জং ভাই জং-উনকে নিয়মিত ‘মাঠের পরামর্শক’ হিসেবে সাহচর্য দেওয়ার পাশাপাশি তাকে ‘জনগণের লোক’ হিসেবে ভাবমূর্তি তৈরির জন্য নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করেন বলে মনে করা হয়। তার বুদ্ধিতেই সম্প্রতি জং-উনকে বিভিন্ন ক্রীড়ানুষ্ঠান ও বিনোদনমূলক কর্মসূচিতে দেখা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৭
এইচএ/