শনিবার (১৪ অক্টোবর) দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে একটি প্লেন যাওয়ার কথা রয়েছে ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টকে নির্বাসনের দ্বীপ সেন্ট হেলেনায়। জোহানেসবার্গভিত্তিক এসএ এয়ারলিংকের ফ্লাইটটি ৭৮ যাত্রী নিয়ে সোয়া ৬ ঘণ্টা উড়ে সেন্ট হেলেনার বিমানবন্দরে নামবে।
এর আগে, প্রতি তিন সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে একটি মাত্র জাহাজ যেতো এই আগ্নেয়গিরির দ্বীপে। ২০১০ সালে দ্বীপটিতে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের অর্থায়নে বিমানবন্দর নির্মিত হলেও এতোদিন পর্যন্ত সংবাদমাধ্যমের চোখে ‘অপদার্থ’ ছিল এটি। ৩৮ কোটি ডলার ব্যয়ে ২০১০ সালে শেষ হওয়া এই বিমানবন্দরে গত বছরই প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালুর কথা ছিল। কিন্তু বিপজ্জনক বাতাস ও আবহাওয়ার কারণে সেই সূচি পিছিয়ে যায়।
গত গ্রীষ্মে জোহানেসবার্গ থেকে সেন্ট হেলেনায় সাপ্তাহিক ফ্লাইট পরীক্ষামূলকভাবে চালানো সফল হলে এবার বাণিজ্যিকভাবে চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়।
কর্তৃপক্ষ আশা করছে, এই ফ্লাইট চলাচল সেন্ট হেলেনার পর্যটনকে করবে আরও সমৃদ্ধ। দ্বীপের জনগোষ্ঠীকেও করবে স্বনির্ভর।
এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে দুর্গম স্থানগুলোর একটি এই দ্বীপ। ১৮১৫ সালে ওয়াটারলু যুদ্ধে ইংরেজদের কাছে ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট পরাজিত হলে তাকে এখানে নির্বাসিত করা হয়। জীবনের শেষ ৬ বছর এখানেই কেটেছিল নেপোলিয়নের।
জাতিসংঘের তথ্য মতে, ব্রাজিলের রিওডি জেনিরো থেকে ৪ হাজার কিলোমিটার পূর্বে এবং আফ্রিকার কুনেনে নদী থেকে ১ হাজার ৯৫০ কিলোমিটার পশ্চিমে দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরে ১২২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ দ্বীপে ৪ হাজার ২৫৫ লোকের বসবাস। সাধারণত আফ্রিকান বংশোদ্ভূত এ জনগোষ্ঠী ইংরেজভাষী এবং ক্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। দ্বীপের অর্থনীতি কৃষি, মৎস্য আহরণ, পর্যটন ও অনুদান নির্ভর।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৭
এইচএ