গত সেপ্টেম্বরে ঘোষণা দেওয়া এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল মুসলিম ছয় দেশ ইরান, লিবিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেন, সোমালিয়া ও চাদ। এছাড়া, উত্তর কোরিয়া ও ভেনেজুয়ালাও নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল।
তবে হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের আদালতের নির্দেশে ট্রাম্পের ওই ঘোষণা আপাতত বাতিল হয়ে গেলো। ফলে চলতি সপ্তাহ থেকে কার্যকর হতে যাওয়া এই সিদ্ধান্ত থমকে যাওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে এখন কী করবেন ট্রাম্প?
তৃতীয় দফা জারি করা এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাকে আরও কয়েকটি আইনি লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এরই মধ্যে ওয়াশিংটন, ম্যাসাচুসেটস, ক্যালিফোর্নিয়া, অরেগন, নিউ ইয়র্ক ও মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্য কর্তৃপক্ষ আদেশ বাতিলে সিয়াটলের আদালতে আবেদন করেছে।
আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন ও অন্যান্য নাগরিক গোষ্ঠীগুলোও ট্রাম্পের এই আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে।
হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের বিচারপতি ডেরিক ওয়াটসন ট্রাম্পের আদেশকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। আদেশে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ইমিগ্রেশান ল বা অভিবাসী আইনের আওতায় প্রেসিডেন্ট এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।
এই বিচারক জানিয়েছেন, ১৫০ মিলিয়নের দেশে বহু দেশের লোকজন বাস করছেন। কেবল এই ছয়টি নির্দিষ্ট দেশের নাগরিকরা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর হবে; এর পক্ষে কোনো যুক্তি বা প্রমাণ নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৭
আইএ