রোহিঙ্গা সংকট পরিদর্শনে ৩ দিনের বাংলাদেশ সফরের শেষ দিন বুধবার (১৮ অক্টোবর) কক্সবাজার ঘুরে এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনীর নৃশংস অভিযানের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দেওয়াসহ সার্বিক কার্যক্রম সমন্বয় করছে আইওএম।
ল্যাসি সুইং রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় আইওএমের ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম আরও জোরদার করার আশ্বাস দিয়ে তার বিবৃতিতে বলেন, রাখাইন থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত যে দুর্বিপাক বিরাজমান তা খুবই পীড়াদায়ক। একেবারেই স্বল্প সহায়তা মিললেও ভুগতে হচ্ছে বহু মানুষকে।
২৫ আগস্ট থেকে যে শরণার্থী ঢল বাংলাদেশ অভিমুখে শুরু হয়েছে তাতে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৮২ হাজারে।
আইওএম প্রধান বলেন, আমি দেখলাম ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে, যাদের ক’দিন আগেই জন্ম হয়েছে, মুষুলধারে বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে তাদের মায়েরা পালিয়ে আসছেন বাংলাদেশে। অনেক বাচ্চা কেবল তাদের মা-বাবাকেই হারায়নি, তাদের বেঁচে থাকার আশাও হারিয়ে ফেলেছে।
তিনি বলেন, এই নারী ও শিশুদের জন্য আমাদের কিছু করতেই হবে। এরা এখন বিশ্বের সবচেয়ে সংকটাপন্ন মানুষ। আমরা ঠিকভাবে সহায়তা না দিতে পারলে হাজারো মানুষ খাদ্য, আশ্রয়, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে।
সফরে আইওএম মহাপরিচালক বাংলাদেশ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। তিনি আলোচনায় রোহিঙ্গাদের জন্য জীবনরক্ষাকারী সহায়তার বিষয়ে কথা বলেন।
এসব আলোচনার বিষয়ে বিবৃতিতে ল্যাসি সুইং বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ যেভাবে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, তাতে আমি অভিভূত। স্থানীয় জনগোষ্ঠীও রোহিঙ্গাদের সহায়তায় হাত বাড়িয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
বিবৃতিতে রোহিঙ্গা সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে তিনি রাখাইন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গঠিত কফি আনানের নেতৃত্বাধীন কমিশনের সুপারিশমালা বাস্তাবয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৭
এইচএ/