স্থানীয় সময় বুধবার (১৮ অক্টোবর) ওয়াশিংটনে সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ নামে একটি থিংক ট্যাংক আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছিলেন টিলারসন।
তিনি বলেন, এশিয়ায় চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বিস্তারের প্রেক্ষাপটে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা দৃঢ়তর গভীর করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
ভারতকে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত সম্পর্কের অংশীদার উল্লেখ করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওয়াশিংটন কখনোই অগণতান্ত্রিক সমাজের বেইজিংয়ের সঙ্গে এ ধরনের সম্পর্ক তৈরিতে যাবে না।
দক্ষিণ চীন সাগরে জাহাজ মোতায়েন করাটাকে বেইজিংয়ের বাড়াবাড়ি অভিযোগ করে তিনি বলেন, চীন প্রায় সময়ই আন্তর্জাতিক চুক্তি-সমঝোতার বাইরে গিয়ে কাজ করেছে।
আগামী সপ্তাহে ভারত সফর করবেন টিলারসন। আর নভেম্বরে চীনসহ এশিয়ার বেশ ক’টি দেশ সফর করবেন তার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এই সফরকে সামনে রেখে এবং বুধবার (১৮ অক্টোবর) চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেসে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ‘নতুন যুগের’ ঘোষণা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর টিলারসন এসব কথা বলেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র গঠনমূলক সম্পর্ক গড়তে চায়। কিন্তু প্রতিবেশী ও যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলোর সার্বভৌমত্বকে পরাভূত করতে চীনের চ্যালেঞ্জে আমরা গুটিয়ে থাকবো না।
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতকে ‘উত্তরোত্তর বৈশ্বিক অংশীদার’ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা কেবল গণতন্ত্রের জন্য মঙ্গলজনক বিষয়ই ভাগাভাগি করি না, আমরা নিজেদের ভবিষ্যৎ লক্ষ্য নিয়েও একসঙ্গে কাজ করি।
তার এ বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা আগে চীনের প্রেসিডেন্ট কমিউনিস্ট পার্টির সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে বলেন, চীনাদের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সমাজবাদী নেতৃত্বে দেশের দ্রুতগতির অভূতপূর্ব উন্নয়ন অন্য দেশগুলোর সামনে (সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে) নতুন বিকল্প এনেছে।
মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ ঘেঁষে উন্নয়নশীল দেশগুলোর যোগাযোগের দিকে ইঙ্গিত করে জিনপিংয়ের দেওয়া এ বক্তব্যের পরই বেইজিংয়ের সমালোচনা আর নয়াদিল্লির প্রশংসায় এমন বক্তৃতা দিলেন টিলারসন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৭
এইচএ/