দেশটির ২৪টি রাজ্যে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। শিশু যৌন নিপীড়নকারীদের বিরুদ্ধে ল্যাতিন আমেরিকায় এটাই সবচেয়ে বড় পুলিশি অভিযান।
ব্রাজিলের আইনমন্ত্রী তরকুয়াতো জারদিম বলেন, আটকরা শিশুদের পর্নোগ্রাফিক ছবি মোবাইল ফোন ও কম্পিউটারে ছড়িয়ে দেওয়া চক্রের সঙ্গে জড়িত। শিশু যৌন নিপীড়কদের বিরুদ্ধে এই অভিযান ছয় মাসব্যাপী অনুসন্ধানে সম্পন্ন হয়েছে।
অভিযানে ব্রাজিলের পুলিশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারাও অংশ নিয়েছেন বলে জানান আইনমন্ত্রী।
অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তারা দেড় লাখেরও বেশি ফাইল খুঁজে পেয়েছেন যাতে শিশুদের আপত্তিকর ছবি রয়েছে। চক্রটি গোপন ওয়েবের মাধ্যমে ছবিগুলো এমনভাবে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয় বেশিরভাগ সার্চ ইঞ্জিন সেগুলো খুঁজে পায় না।
আটককৃতদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার, সরকারি কর্মকর্তা এবং ফুটবল ক্লাবের অধিকর্তারাও রয়েছেন বলে জানান ব্রাজিলীয় আইনমন্ত্রী তরকুয়াতো জারদিম।
বিশেষ এই অভিযানে ১ হাজারের বেশি কর্মকর্তা অংশ নেন জানিয়ে আইনমন্ত্রী জারদিম বলেন, পুলিশি নজর এড়াতে আধুনিক প্রযুক্তি ও কৌশল অবলম্বন করে এইসব অপরাধীরা। তারা শিশুদের অবৈধ, আপত্তিজনক ও অশ্লীল ছবি
দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্নজনের কম্পিউটারে সংরক্ষণ করে, এমনকি দেশের বাইরেও। যাদের কম্পিউটারে এসব ছবি ও তথ্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে তাদের বেশিরভাগ এ ব্যাপারে ওয়াকিবহাল নন।
শিশুদের সঙ্গে যৌনাচারের তথ্য, ছবি ও ভিডিও যারা শেয়ার করছে, প্রাথমিকভাবে তাদের লক্ষ্য করেই পুলিশের এই অভিযান শুরু হয়। তদন্ত কার্যক্রমের এক পর্যাযে এক ডজন কম্পিউটার, কিছু মোবাইল ফোন ও সিডি জব্দ করার পর অনুসন্ধানকারীরা জানতে পারেন অপরাধী চক্র পর্নোগ্রাফিক ম্যাটেরিয়াল তৈরি করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিচ্ছে।
জব্দকৃত ফাইলগুলোতে অনুসন্ধাকারী কর্মকর্তারা দেখতে পান, শিশুদের যৌন নিপীড়নের ছবি ও ভিডিও। এমনকি কোনো কোনো শিশু অভিভাবক ও আত্মীয়-স্বজনদের দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৭
এমজেএফ