সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, চুলে কৃত্রিম রং করায় চুল ও মাথার তালু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ওসাকার কাইফুকান হাই স্কুলের ওই শিক্ষার্থী।
স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে ডাইং বা ব্লিচিং করা চুলের জন্য বহিষ্কার করার রীতি রয়েছে কাইফুকান হাই স্কুলের।
অন্যদিকে স্কুলের নির্দেশনা পাওয়ার পর স্কুল কর্তৃপক্ষকে মেয়েটির মা জানিয়েছিলেন জন্মগতভাবেই তার মেয়ের চুল বাদামি রঙের। তবুও স্কুল কর্তৃপক্ষ মেয়েকে চুলে কালো রং করতে বাধ্য করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষার্থীর মা।
ঘটনার পর গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে মেয়েটি আর স্কুলে উপস্থিত হয়নি বলে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম। চুল ও স্কাল্পের ক্ষতি হওয়ায় মেয়েটি ১৯ হাজার মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়েছে।
আদালতে ক্ষতিপূরণের দাবি প্রত্যাখ্যানের আবেদেন জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে কাইফুকান হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাসাহিকো তাকাহাশি মামলা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি।
অনেক জাপানি স্কুলে সাজগোজ, চুলের রং, মেকআপ এমনকি স্কার্টের দৈর্ঘ্য সংক্রান্ত নিয়ম-কানুন রয়েছে, যা কঠোরভাবো পালন করতে হয় শিক্ষার্থীদের।
চলতি বছরের শুরুর দিকে দেশটির দৈনিক পত্রিকা আহাসি শিমবুনের এক জরিপে দেখা যায়, ৬০ শতাংশ স্কুল শিক্ষার্থীদের চুল জন্মগত রঙের কিনা তার প্রমাণ দিতে বাধ্য করে। প্রমাণ হিসেবে বাচ্চা বয়সের ছবি দিতে হয় স্কুলে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৭
এমজেএফ