নয়াদিল্লি: আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বুধবার দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারি চুক্তির বিস্তারিত চূড়ান্ত করেছেন। এতে তারা তিনটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তিতে সই করেন।
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে হামিদ কারজাই বলেন, ‘আফগানিস্তানের জন্য আমাদের সহায়তার দরজা সব সময় খোলা রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাহিনী আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহার দেশটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণে ভারত পাশে থাকবে। ’
চুক্তি সই করা বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে রয়েছে, আফগান প্রতিরক্ষা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় অস্ত্র দেবে ভারত। এছাড়া সক্ষমতা সৃষ্টি করতেও সহায়তা করা হবে। প্রশিক্ষণের আওতায় সেনাবাহিনীও থাকবে। এখনো পর্যন্ত আফগানিস্তানের বিভিন্ন সামরিক কর্মকর্তা ভারতের বিভিন্ন প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কোর্স সম্পন্ন করেছে।
এই চুক্তির ফলে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক বাড়বে। যদিও পাকিস্তান জোর দিয়ে ভারতকে বলে আসছে, আফগান সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক না গড়তে। এখনো আফগানিস্তানে সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছে নয়াদিল্লি এবং দেশটির পুনর্নির্মাণ ও পুনর্বাসনের কাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছে।
কারজাই বলেন, চুক্তির মাধ্যমে কৌশলগত চুক্তির ব্যাপারে নথিভুক্ত করা হলো। যদিও সক্রিয় অংশীদারি আগে থেকেই রয়েছে। এই প্রথম কোনো দেশের সঙ্গে আফগানিস্তানের চুক্তি।
সার্বভৌমত্ব, সমতা ও রাষ্ট্রের ভূখ-গত সমন্বয় নীতির ওপর এই চুক্তি প্রতিষ্ঠিত। চুক্তিতে বলা হয়েছে, কোনো দেশ অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সুযোগ-সুবিধার সম্পর্ক বজায় রেখে চলবে।
ভারতকে আফগানিস্তানের একনিষ্ঠ বন্ধু উল্লেখ করে কারজাই বলেন, আফগানিস্তানকে সন্ত্রাসবাদ ও সহিংসতা দেশ হিসেবে দেখে না ভারত। বরং প্রতিবেশী দেশ হিসেবে শান্তি থাকতে চায় বলে মনে করে নয়াদিল্লি।
কারজাইয়ের ভারত সফরের মধ্যেই আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট বুরহানউদ্দিন রাব্বানি হত্যাকা- পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা চলছে। রাব্বানিকে সপ্তাহ দুয়েক আগে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তা হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ কারজাই সরকারের। আফগান সরকারের একটি তদন্ত দল এর প্রমাণও পেয়েছে। তালিবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় মধ্যকারী হিসেবে সামনের কাতারে ছিলেন রাব্বানি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১১