লিমা: যৌনব্যবসার কাজে জোর পূর্বক ব্যবহারের অভিযোগে পেরুর আমাজন অঞ্চলে তল্লাশি চালিয়ে ৩০০ জন নারীকে উদ্ধার করেছে দেশটির পুলিশ। সেই সঙ্গে মানব পাচারের অভিযোগে পুয়েরর্তো মালদোনাদো শহর থেকে চার জনকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার পেরুর পুলিশের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো এ খবর প্রকাশ করেছে। তিনদিন ধরে পরিচালিত ওই অভিযানে ৪শ’রও বেশি পুলিশ অংশ নেয়।
পুলিশ জানায়, যৌনদাসী করে রাখা ওই নারীদের ৫০টি পতিতালয় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে কমপক্ষে ১০ জন নারী সংখ্যালঘু আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সদস্য। উদ্ধার করা নারীদের মধ্যে ১৩ বছর বয়সী একজন কিশোরীও রয়েছে।
স্থানীয় কৌঁসুলিরা জানান, অল্প বয়সী মেয়েদের দোকানে অথবা গৃহপরিচারিকার কাজ দেওয়ার লোভ দেখিয়ে নারী এজেন্টরা নিয়ে আসে। পরে তাদের স্থানীয় পানশালায় পতিতাবৃত্তির কাজে বাধ্য করা হয়।
শিশু অধিকারের আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’ গতমাসে জানায়, পেরুর দক্ষিণ-পুর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ মাদরে দে দিয়োসে অবৈধভাবে সোনা সংগ্রহের ক্যাম্প থেকে ১১শ’রও বেশি অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে উদ্ধার করা হয়। এদের যৌন দাসী হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল।
তারা আরও জানায়, ওই সব ক্যাম্পে মহাসড়কের পাশে অনুমতিবিহীন পানশালা গড়ে তোলা হয়। পরে তাতে পতিতা বৃত্তির কাজ চালানো হয়।
পেরুর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ ভাগ্যের অন্বেষণে মাদরে দে দিয়োসে আসে। অবৈধভাবে খনি থেকে সোনা উত্তোলনের জন্য অঞ্চটির পরিচিতি রয়েছে। অঞ্চলটিতে ব্যবসা করার জন্য বিদেশিরাও আস্তানা গাড়ে।
পেরু বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম সোনা উত্তোলনকারী দেশ। ওই অঞ্চলে সোনা আহরণের ফলে চির হরিৎবনের ক্ষতি হচ্ছে। সোনা পরিশোধনের জন্য যে টন টন পারদ ব্যবহার করা হয় তাতে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১১