রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছাড়াও মুদ্রা পাচার পরিকল্পনা ও ভুয়া বিবৃতি দেওয়ার মতো অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সময় সোমবার (৩০ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, এ অভিযোগ স্বীকারও করে নিয়েছেন পাপাদোপুলস।
ওইদিন সকালে ওয়াশিংটন ডিসিতে এফবিআই কার্যালয়ে আত্মসমর্পণ করেন ম্যানাফোর্ট। তবে অভিযোগের বিষয়ে তার বা রিক গেটসের বক্তব্য জানা যায়নি।
২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার সম্ভাব্য প্রভাব এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচার শিবিরের সঙ্গে মস্কোর যোগসাজশের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরুর পর এই প্রথম কারও বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হযেছে।
অবশ্য এসব অভিযোগের মধ্যে ট্রাম্পের ভোটের প্রচারের প্রসঙ্গ সরাসরি আসেনি।
২০০৬ ও ২০১৫ সালে ইউক্রেনে রাশিয়াপন্থি একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে পরামর্শকের কাজ করার ক্ষেত্রে অনিয়মগুলোতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন নিয়ে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে নানা অভিযোগ ওঠে। এরই প্রেক্ষিতে তদন্তের দাবি জানান যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের ডেমোক্রেট ও কয়েকজন রিপাবলিকান সদস্য।
তাদের দাবির মুখেই দেশটির বিচার বিভাগ গত মে মাসে সাবেক এফবিআই প্রধান রবার্ট মুলারকে বিশেষ কাউন্সেলর হিসেবে এই তদন্ত পরিচালনার দায়িত্ব দেয়।
মুলারের কার্যালয়ের বিবৃতির কথা উল্লেখ করে বিবিসি জানায়, কলাম্বিয়ার ডিস্ট্রিক্ট গ্র্যান্ড জুরি গত ২৭ অক্টোবর ম্যানাফোর্ট ও গেটসের বিরুদ্ধে ১২ দফা অভিযোগ এনেছে।
এগুলো হচ্ছে- যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, মুদ্রা পাচারের পরিকল্পনা, বিদেশি একটি পক্ষের এজেন্ট হিসেবে কাজ করা, লবিস্ট হিসেবে নিবন্ধনের ক্ষেত্রে ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া, বিদেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য না দেওয়ার সাতটি অভিযোগসহ ১২টি অভিযোগ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৭
এমএ/