মাস দুয়েকের মাতলামিতে বর্বর এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন জাপানের তাকাহিরো শিরাইশি নামে ২৭ বছর বয়সী এক যুবক। তার টোকিওর বাসায় তল্লাশি চালিয়ে ওই দেহাংশগুলো পাওয়ার পর তাকাহিরোকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (১ নভেম্বর) স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, তাকাহিরো আট নারীকেই ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন জিজ্ঞাসাবাদে। তাদের সঙ্গে তার যোগাযোগ গড়ে উঠেছে টুইটারে।
জিজ্ঞাসাবাদ সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম জানায়, তাকাহিরো ওই নারীদের হত্যার পর তাদের মাংস কেটে আবর্জনার স্তূপে ফেলে দেন। এরপর কিছু দেহাংশ বিড়ালকে দিয়ে দেন, যেন বোঝা যায়, এসব তাদের খাবারের অংশ।
হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ লুকোতে তিনি ওই নয় জনের মাথা-মুখমণ্ডলসহ অন্তত ২৪০টি দেহখণ্ড নিজের বাসার শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র (এসি) ও টুলবক্সে রেখে দেন। কিন্তু সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ সে বাসায় তল্লাশি চালিয়ে তাকাহিরোকে আটক করে।
এই ভয়াবহ ঘটনা পুরো জাপানকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে। যে দেশে অপরাধের হার একেবারেই কম, এমনকি যৌন নিপীড়নেরও ঘটনা একেবারেই কম ঘটে বলে রেকর্ড আছে, সেখানে ধর্ষণের পর এই হত্যাকাণ্ড সবাইকেই বাকরুদ্ধ করে দিয়েছে।
জাপানি সংবাদমাধ্যমও এই খবরে স্তব্ধ। নিক্কন স্পোর্টস ট্যাবলয়েড এ বিষয়ে শিরোনাম করেছে ‘কিলিং রুম’ (খুনের ঘর), আর স্পোর্টস নিপ্পন শিরোনাম করেছে ‘ওয়ান মার্ডার অ্যা উইক’ (প্রতি সপ্তাহে এক খুন)।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৭
এইচএ/