ইউএনএইচসিআর’র এক বিবৃতিতে বলা হয়, জাতিসংঘের এই কর্মকর্তার বৃহস্পতিবার শেষ হওয়া দুইদিনের মিয়ানমার সফরে এমন আহ্বান জানান তিনি।
টুর্ক দেশটির রাজধানী নেপিডো সফর করেন।
বৈঠকগুলোতে জাতিসংঘের সহকারী হাইকমিশনার রাখাইন রাজ্যে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা ও সব জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়ে কথা বলেন। তাদের কাছে অবাধে প্রয়োজনীয় ত্রাণ প্রবেশের কথাও তিনি বলেন। এতে করে রোহিঙ্গাদের জীবন রক্ষা পাবে এবং তারা আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবে বলে মত দেন তিনি।
রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা লাখ লাখ মানুষের সেখানে ফিরে যাওয়ার অধিকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করে টুর্ক তাদের মূল জায়গায় নিরাপদে, স্বেচ্ছায় এবং টেকসই প্রত্যাবর্তনের আবেদন জানান।
টুর্ক ৩১ অক্টোবর ইউএনএইচসিআর’র সঙ্গে যৌথভাবে আন্তর্জাতিক মানের স্বেচ্ছা প্রত্যাবর্তনের দিক-নির্দেশনা নিয়ে কর্মশালার উদ্যোগ গ্রহণ করায় মিয়ানমার সরকারকে ধন্যবাদ জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, সহকারী হাইকমিশনারের এই আঞ্চলিক সফর থাইল্যান্ডে অব্যাহত থাকবে। তিনি আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে বাংলাদেশ সফর করবেন।
চলতি বছরের ২৪ আগস্টের পর থেকে অব্যাহত অত্যাচারে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ছয় লাখের বেশি বলে জাতিসংঘ জানাচ্ছে। বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা আরও লাখ খানেক বেশি। এছাড়া আগে থেকেই চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারে থাকেন। এতে মোট রোহিঙ্গা সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৭
আইএ