তার বিরুদ্ধে ইউরোপীয় এরেস্ট ওয়ারেন্ট (ইএডাব্লিউ) জারি হওয়ায় ইউনিয়নভুক্ত যেকোনো দেশে এটি কার্যকর হবে। বর্তমানে বেলজিয়ামে রয়েছেন স্বাধীনতাকামী এই নেতা।
বৃহস্পতিবার মাদ্রিদে হাইকোর্টে শুনানিতে তারা পাঁচজন অংশ নেননি। ছিলেন কাতালোনিয়া সরকারের সাবেক নয়জন সদস্য। সেই নয়জনকে জেল-হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। যদিও একজনকে ৫০ হাজার ইউরোর জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতা, বিদ্রোহ ও জনতহবিলের অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
কার্লেস পুজদেমন্ত জানিয়েছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না ন্যায্য বিচারের নিশ্চয়তা পাচ্ছেন তিনি; ততক্ষণ দেশে ফিরে যাবেন না।
এদিকে বেলজিয়াম গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে বিবেচনা করছে বলে তাদের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন।
স্পেনের অ্যাটর্নি জেনারেল হোসে ম্যানুয়েল মাজা কার্লেস পুজদেমন্ত ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে প্রথম রাষ্ট্রদ্রোহ ও অর্থনৈতিক দুর্নীতির অভিযোগ আনেন। তার আগে গত ২৭ অক্টোবর (শুক্রবার) কাতালোনিয়ার পার্লামেন্টে স্বাধীনতার ঘোষণা পাস হয়। যার ঘণ্টা না যেতেই স্পেনের সিনেট রাজ্যকে কেন্দ্রের শাসনে আনতে মন্ত্রিসভার প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়। পরদিন শনিবার কাতালোনিয়া আঞ্চলিক সরকারকে বরখাস্ত করার পর দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হয় স্পেনের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রীর হাতে। নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পাশাপাশি আগামী ২১ ডিসেম্বর কাতালোনিয়ায় আগাম নির্বাচনের ঘোষণা করেছে স্পেনের কেন্দ্রীয় সরকার।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রসহ সব মহলের বাধা উপেক্ষা করে ১ অক্টোবর গণভোটের আয়োজন করে রাজ্যটি। সেই থেকেই যত বিতর্কের শুরু।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৭
আইএ