রোববার তারা আত্মসমর্পণ করেছিলেন, সোমবার আদালতে হাজির হলে জামিন পান। তবে বেলজিয়াম ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।
একজন আইনজীবী জানান, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে চেম্বার দ্য কাউন্সিলে পুজদেমন্ত ও তার চার মন্ত্রীকে হাজির হতে হবে।
শনিবার তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর রোববার নিজে থেকেই তারা ধরা দেন। তাদের বিরুদ্ধে মূলত ইউরোপীয় এরেস্ট ওয়ারেন্ট (ইএডাব্লিউ) জারি হয়। যা ইউনিয়নভুক্ত যেকোনো দেশে কার্যকর।
দ্রোহের অভিযোগ ওঠার পরই বেলজিয়ামে পালিয়ে যান স্বাধীনতাকামী কার্লেস পুজদেমন্ত ও তার সহযোগীরা। অবশ্য সেখানে থেকেই আনীত অভিযোগের জবাব দিতে চেয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জানিয়েছিলেন কার্লেস পুজদেমন্ত। আরও জানিয়েছিলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না ন্যায্য বিচারের নিশ্চয়তা পাচ্ছেন; ততক্ষণ স্পেনে ফিরে যাবেন না।
বৃহস্পতিবার মাদ্রিদে হাইকোর্টে শুনানিতে তারা পাঁচজন অংশ নেননি। ছিলেন কাতালোনিয়া সরকারের সাবেক নয়জন সদস্য। সেই নয়জনকে জেল-হেফাজতে পাঠানো হয়। যদিও একজনকে ৫০ হাজার ইউরোর জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতা, বিদ্রোহ ও জনতহবিলের অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
স্পেনের অ্যাটর্নি জেনারেল হোসে ম্যানুয়েল মাজা কার্লেস পুজদেমন্ত ও সহযোগীদের বিরুদ্ধে প্রথম রাষ্ট্রদ্রোহ এবং অর্থনৈতিক দুর্নীতির অভিযোগ আনেন। তার আগে গত ২৭ অক্টোবর (শুক্রবার) কাতালোনিয়ার পার্লামেন্টে স্বাধীনতার ঘোষণা পাস হয়। যার ঘণ্টা না যেতেই স্পেনের সিনেট রাজ্যকে কেন্দ্রের শাসনে আনতে মন্ত্রিসভার প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়। পরদিন শনিবার কাতালোনিয়া আঞ্চলিক সরকারকে বরখাস্ত করার পর দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হয় স্পেনের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রীর হাতে। নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পাশাপাশি আগামী ২১ ডিসেম্বর কাতালোনিয়ায় আগাম নির্বাচনের ঘোষণা করে স্পেনের কেন্দ্রীয় সরকার।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রসহ সব মহলের দ্বিমত উপেক্ষা করে ১ অক্টোবর গণভোটের আয়োজন করে রাজ্যটি। সেই থেকেই যতো বিতর্কের শুরু।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৭
আইএ