বৃহস্পতিবার থেকে বিবিসি’র আরো ২০০০ কর্মী চাকরি হারাচ্ছেন। তহবিল সঙ্কটে পড়ে এ বিপুল সংখ্যক কর্মী ছাটাই করছে বিশ্বখ্যাত সংবাদমাধ্যমটি।
এবারের তালিকায় বিবিসি ব্যবস্থাপনায় রয়েছেন এমন কিছু নামও যোগ হয়েছে। এছাড়াও যারা থেকে যাচ্ছেন তাদের কাজের পরিমান বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। টেলিভিশন ও রেডিও কর্মীদের একীভ’ত করা হচ্ছে।
সবচেয়ে বড় আঘাতটি এসেছে রেডিও ফাইভ লাইভের ওপর। এর অন্যতম হোস্ট টনি লিভসের ওপর সপ্তাহান্তের বিবিসি ওয়ান এর ব্রেকফাস্ট নিউজ হোস্ট করার দায়িত্বটিও চাপানো হয়েছে।
আর ব্রেকফাস্ট নিউজ ও রেডিও ফাইভের কার্যক্রম ম্যানচেস্টারে নতুন প্রোডাকশন ইউনিটে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বিবিসি’র কার্যালয়টিও নাকি তার পশ্চিম লন্ডনের বাড়িটি ছেড়ে যাচ্ছে। লন্ডনের টিভি সেন্টার ও পাশ্ববর্তী হোয়াইট সিটি ভবনটিও বিক্রি করে দিচ্ছে বিবিসি। খবরে প্রকাশ, ফুটবল ক্লাব চেলসি ও কিউপিআর কিনে নিচ্ছে ভবন দুটি। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বার্মিংহামে বিবিসি’র ফ্যাকচুয়াল বেসটিও।
সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবারই কর্মীদের সঙ্গে কথা বলবেন বিবিসির চেয়ারম্যান লর্ড প্যাটেন ও মহাপরিচালক মার্ক থমসন। তাদের আলোচনার বিষয়বস্তুই থাকবে খরচ কমিয়ে কিভাবে মানসম্মত অনুষ্ঠান চালিয়ে যাওয়া যায় তার কর্ম-কৌশল।
তহবিল সঙ্কটে পড়ে বিবিসির সাত বছরে এটি তৃতীয় দফা কর্মী ছাঁটাই। এর আগে ২০০৫ সালে ৩,৭০০ এবং ২০০৭ সালে ২,৮০০ কর্মী ছাঁটাই করে বিবিসি। বিবিসি’র মোট কর্মী সংখ্যা ১৮,০০০।
বাংলাদেশ সময় ১২৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১১