দূষণের কারণে প্রতিবছরই এ সময়ে দিল্লিতে কুয়াশা সদৃশ ধোঁয়ার আবির্ভাব হয়। পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এক টুইটার বার্তায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, ‘প্রতি বছরই এ সময়ে দিল্লি একটা গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়’।
ভারতের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান ক্রিশান কুমার আগারওয়াল বলেন, দূষণের মাত্রা ভীতিকর পর্যায়ে পৌঁছালে আমরা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করি।
২০১৪ সালে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন দিল্লিকে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করে। বিবৃতিতে বলা হয়, দিল্লির দূষণের অবস্থা বেইজিংয়ের চেয়েও খারাপ। এরপর থেকেই দিল্লির স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ করে দেয় এবং বিকল্প জ্বালানি ব্যবহারের উপর জোর দেয়।
কিন্তু দিল্লিতে বসবাসকারীরা জানাচ্ছেন, দূষণ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য কর্তৃপক্ষ তেমন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
একজন রিয়েল স্টেট এজেন্ট ভিপিন মালহোত্রা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, দিল্লি বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে শিশুদের জন্য এ শহর মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। দূষণের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। এ সমস্যা সমাধানের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
ভারতের কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ জানায়, বায়ুমণ্ডলে উচ্চমাত্রায় আর্দ্রতা বিরাজ করায় এবং বায়ুপ্রবাহ কম থাকায় দূষিত উপাদানগুলো পরিবেশে এভাবে স্থায়ীভাবে অবস্থান করছে।
জানা যায়, এরকম কুয়াশা সদৃশ দূষিত ধোঁয়া গত বছরও দেখা দিয়েছিল দিল্লিতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৭
এনএইচটি/এএ