রোম: ইতালির প্লেবয় প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বেরলুসকোনি পার্লামেন্টে এক সাংসদের সমালোচনায় সরেস মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, তার দলের নাম পাল্টে ‘পুসি এগিয়ে চলো’ (গো পুসি) রাখা উচিত।
ইতালির গণমাধ্যমগুলো বৃহস্পতিবার এ খবর প্রকাশ করেছে।
একের পর এক যৌন কেলেঙ্কারির শিকার এই প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা এখন স্মরণকালের সবচে কম। এমনিতে তার ওপর ভোটররা ক্ষিপ্ত তার ওপর এমন হঠকারী মন্তব্য তাদের ক্ষোভ আরও উস্কে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিন ক্ষমতাসীন জোটের ৭৫ বছর বয়সী একজন সংসদ সদস্য বলেন, ‘আমরা দলের ‘পিপল অব ফ্রিডম’ নাম পরিবর্তন করব কারণ, জনগণ এই নাম আর হৃদয়ে ধারণ করে না। ’ তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে কারো পরামর্শ থাকলে আমরা বিবেচনা করে দেখব। ’
এ সময় বেরলুসকোনি কৌতুক করে বলেন, ‘আমি একটি নাম বলছি যা খুবই সফলতা পেতো, তা হলো ‘গো পুসি’।
ওই সাংসদ একজন বড় ব্যবসায়ী। বিলিয়নেয়ার ওই ব্যবসায়ী ‘গো ইতালি’ নামের একটি দলের মাধ্যমে প্রথম রাজনীতিতে আসেন ১৯৯০ এর দশকে। ফুটবল খেলার একটি জনপ্রিয় গান এটি।
এর বিপরীতে বিরোধী দলীয় সাংসদ আন্তোনিও বোরঘেসি বলেন, ‘আমাকে বলতেই হবে, বেরলুকোনির এই সরস মন্তব্যটি খারাপ ছিল না। ’
তিনি বলেন, ‘গো পুসি, নামটি তার লাইফ স্টাইল এবং রাজনীতির একটা সংক্ষিপ্ত প্রকাশ। ’
বেরলুসকোনির কৌতুকগুলো সাধারণত খুব কুৎসিত এবং নারী বিদ্বেষী ধরনের হয়। এ কারণে নারীবাদী, বর্ণবাদ বিরোধী এবং ক্যাথলিক চার্চ প্রায়ই তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়।
রোমের একজন শীর্ষস্থানীয় কার্ডিনাল (বিশপ) এঞ্জেলো বাগনাসকো প্রধানমন্ত্রীর এই আচরণকে জনগণের মর্যাদাহানীকর এবং সংসদের আচরণবিধির সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছেন।
বেরলুসকোনির আরেক সমালোচক ডানপন্থী ফিউচার অ্যান্ড ফ্রিডম পার্টির নেতা আলদো দি বিয়াগিও বলেন, ‘ কাউকে নিয়ে মস্করা করার জন্য বেরলুসকোনির সংসদে আসা উচিত নয়। ’ তিনি বলেন, ‘তার সময় শেষ হয়ে গেছে। ইতালির ভালর জন্যই তাকে পদত্যাগ করা উচিত। ’
বেরলুসকোনির নিজ দলের সাংসদরাও অবশ্য এ ধরনের মস্করার সমালোচনা করেছেন। সাংসদ বারবারা সালতামারতিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ওই কৌতুক সঠিক হয়নি এবং এটা মজারও নয়। ’
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর বেরলুসকোনির জনপ্রিয়তা রেকর্ড ২৪ শতাংশে নেমে আসে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১১