ওয়াশিংটন: যুক্তরাষ্ট্রের চালক বিহীন বিমান ড্রোনে এক রহস্যময় কম্পিউটার ভাইরাস আক্রমণ করেছে। ভাইরাসটি প্রথম সনাক্ত করা হয় দুই সপ্তাহ আগে।
চালক বিহীন বিমান ড্রোন দূর নিয়ন্ত্রিত। এই ধরনের বিমান গোয়েন্দাগিরি এবং আফগানিস্তান, পাকিস্তান সীমান্তবর্তী উপজাতি অঞ্চল ও অন্যান্য যুদ্ধক্ষেত্রে ক্ষোপণাস্ত্র হামলার জন্য ব্যবহার করা হয়।
ভাইরাস আক্রমণের কারণে গোপনীয় তথ্য পাচার হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ভাইরাসটি ক্রিক বিমানঘাঁটির কম্পিউটারগুলোতে সমস্যা করছে। নানাভাবে চেষ্টা করেও একে দূরীভূত করা যাচ্ছে না।
রহস্যময় এই ভাইরাসের আক্রমণে মার্কিন সমরিক বাহিনীর সবচে গুরুত্বপূর্ণ এই অস্ত্রের নিরাপত্তা নিয়ে বেশ উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।
নেটওয়ার্ক নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত একজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, ‘আমরা একে সরিয়ে দিচ্ছি কিন্তু এটি আবার ফিরে আসছে। আমরা মনে করছি, এটা অতোটা ঝুঁকিপূর্ণ নয়। কিন্তু আসলে এর প্রকৃতি বুঝতে পারছি না। ’
সামরিক নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা কেউই বলতে পারছেন না, এই ভাইরাসটি আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত কি না। আর এটা কতোটা ছড়িয়েছে সে ব্যাপারেও কোনো সঠিক ধারণা তাদের নেই। তবে ভাইরাসটি ক্রিকের অতি গোপনীয় এবং সাধারণ তথ্য সমৃদ্ধ উভয় ধরনের কম্পিউটারেই ছড়িয়ে পড়েছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত।
এতে করে এই আশঙ্কায় সবাই উদ্বিগ্ন যে, এর মূল ব্যবহারকারী অন্তত কিছু গোপন তথ্য চুরি করে থাকতে পারে এবং পরে তা সাধারণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী এই ভাইরাস আক্রমণের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বারাক ওবামা ক্ষমতা নেওয়ার পর মার্কিন সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ পরিচালিত প্রায় ৩০টি ড্রোন পাকিস্তানে ২৩০ বারেরও বেশি আক্রমণ চালিয়েছে। ওয়াশিংটন পোস্টের হিসাব অনুযায়ী, এই সব হামলায় সাধারণ নাগরিকসহ নিহত হয়েছে ২ হাজার সন্দেহভাজন জঙ্গি।
মার্কিন বিমান বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আরও ১৫০টি ড্রোন আফগানিস্তান ও ইরাক যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ করছে।
গত মধ্য এপ্রিল থেকে আগস্টের শেষ নাগাদ লিবিয়াতে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে ৯২ বার। সর্বশেষ গতমাসে ইয়েমেনে ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন আল কায়েদা নেতা আনোয়ার আল আওলাকি।
দক্ষিণ আফ্রিকা ও আরব উপদ্বীপের দক্ষিণাঞ্চল ড্রোন ঘাঁটির বলয় গড়ে তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, অক্টোবর, ০৮, ২০১১