জেনেভা: সিরিয়ার সরকারি বাহিনী এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যকার সংঘর্ষে এ যাবৎ দুই হাজার ৯০০ মানুষ মারা গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা। শনিবার সংস্থাটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার হাই কমিশনার রুপার্ট কোলভিল বলেন, ‘নিহতের সংখ্যা মোট ২৯০০। প্রত্যেকের নাম সংগ্রহ করেই আমরা এ তালিকা প্রস্তুত করেছি। এর আগে এর সংখ্যা ছিল দুই হাজার ৭০০ জন। ’
জাতিসংঘের সিনিয়র কর্মকর্তারা সিরিয়ার অবস্থা সম্পর্কে বারবারই উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন। গত মার্চ মাস থেকেই আসাদ সরকারের পতনের দাবিতে সিরিয়াতে বিক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করে। বিক্ষোভ প্রতিরোধে আসাদ সরকার নিরাপত্তা বাহিনীসহ সেনাবহিনীও ব্যবহার শুরু করে এর কয়েকদিন পর থেকেই।
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন সিরিয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সিরিয়ার ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না, এখনই এর ইতি টানতে হবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও এক প্রকার নৈতিক অবস্থান নেওয়া উচিত সিরিয়ার সহিংসতা বন্ধে।
জাতিসংঘের মানবতা বিষয়ক সংস্থা একটি কমিশনকে সিরিয়ার সহিংসতা চলমান অবস্থা সম্পর্কে তদন্ত করতে বলে। সেই কমিশন তদন্ত প্রতিবেদনে সিরিয়ার সরকারকে সেদেশের বেসামরিক জনগণকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। এমনকি বিক্ষোভকারীদের শারিরীক নির্যাতনের চিত্রও ফুটে উঠেছে ওই প্রতিবেদনে।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সিরিয়ায় মানবতা লঙ্ঘন ইস্যু নিয়ে প্রস্তাবনা উঠলে রাশিয়া ও চীন ওই প্রস্তাবে ভেটো দেয়। রাশিয়া এবং চীনের প্রতিনিধিরা বলেন, ‘এই প্রস্তার শুধুই উত্তেজনা বাড়াবে, কিন্তু কোনো সমাধানের রাস্তা বের করবে না।
জাতিসংঘ মহাসচিবের পক্ষে তার মুখপাত্র গতকাল বলেন, ‘জাতিসংঘ মহাসচিব আশা করছেন বিশ্ব নেতৃবৃন্দ সিরিয়ার বিষয়ে কার্যকরী সমাধানের রাস্তায় যাবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১১